আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হলেও জামায়াতে ইসলামীকে দেওয়া হয়নি। তবে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অনুমতি ছাড়াই শাপলা চত্বরেই মহাসমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে দলটি।
আজ শুক্রবার রাতে জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মাছুম এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানান।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, ঢাকায় জামায়াত ঘোষিত ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশ বানচাল করার অসৎ উদ্দেশ্যে সরকার নেতাকর্মীদের ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। দেশের বেশকিছু এলাকায় টহলের নামে পিকআপভ্যানে চড়ে বাঁশি বাজিয়ে পুলিশ ত্রাস সৃষ্টি করছে। দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা নেতাকর্মীদের বাড়ি-ঘর, ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান ও কর্মস্থলে হামলা চালানো হচ্ছে। বাড়ি-ঘরের মূল্যবান জিনিসপত্র ভাঙচুর করে ব্যাপক ক্ষতিসাধন করা হচ্ছে। অভিযানকালে তারা বাসা-বাড়িতে থাকা লোকজনকে গালি দিচ্ছে এবং ভয় দেখাচ্ছে। পুলিশের এই কর্মকাণ্ড থেকে নারী-শিশু এবং বৃদ্ধ বাবা-মাও রেহাই পাচ্ছেন না। গ্রেপ্তার আতঙ্কে মানুষ ছুটাছুটি করছে। মনে হয়, দেশে যুদ্ধাবস্থা তৈরি হয়েছে।
বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, গত ২৩ অক্টোবর মহাসমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণার পর থেকে এ পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের কয়েকশত নেতাকর্মীকে পুলিশ অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার করেছে।
তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের জুলুম-নির্যাতনের মাত্রা ছাড়িয়ে গিয়েছে। তারা দেশকে এক ভয়াবহ অবস্থার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। সরকার জামায়াতসহ বিরোধীদলের হাজার হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে গোটা দেশকে আজ এক বৃহৎ কারাগারে পরিণত করেছে। আমি স্বৈরাচারী জালিম সরকারের এইসব জুলুম-নির্যাতন, দমন-পীড়ন ও গ্রেপ্তার-হয়রানির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
বিবৃতিতে দলটির ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, জামায়াতে ইসলামী একটি নিয়মতান্ত্রিক ও গণতান্ত্রিক ইসলামী রাজনৈতিক দল। মিটিং-মিছিল করা যে কোনো বৈধ রাজনৈতিক দলের সাংবিধানিক অধিকার। এ অধিকার থেকে বঞ্চিত করার এখতিয়ার কারও নেই। আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। তারা হামলা, মামলা করে প্রতিপক্ষকে দমিয়ে রাখতে চায়। ভোটাধিকার হরণকারী আওয়ামী সরকারের প্রতি জনগণের কোনো আস্থা নেই। আমরা সরকারের সব অগণতান্ত্রিক আচরণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার হওয়ার জন্য দেশবাসীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।
অবিলম্বে জুলুম-নির্যাতন বন্ধ করে আমিরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের এবং সারা দেশ থেকে জামায়াত ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের গ্রেপ্তার হওয়া সব নেতাকর্মীর নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করছি। সেইসঙ্গে সরকারের উস্কানি, অসাংবিধানিক ও গণতন্ত্র বিরোধী অপতৎপরতায় বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য দেশবাসী এবং সংগঠনের সর্বস্তরের জনশক্তির প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।