ভারতে চলতি মাসের মাঝামাঝি সময়ে দিল্লির একটি মসজিদে জমায়েতকে কেন্দ্র করে ব্যাপক করোনাভাইরাসে আক্রান্তের আশঙ্কা করা হচ্ছে। মসজিদের ওই জমায়েতে যারা যোগ দিয়েছিলেন তাদের মধ্যে ১ হাজার ২০০ জনকে মসজিদের ভেতরেই আটকে রাখা হয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ইতিমধ্যে ৩০০ জনেরও বেশি মানুষকে বিভিন্ন হাসপাতালে করোনাভাইরাস পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। করোনাভাইরাস সংক্রমণের সন্দেহে একসঙ্গে এত মানুষের নমুনা পরীক্ষা ভারতে এটাই প্রথম।
এলাকায় আর কারও করোনাভাইরাস সংক্রমণ হয়েছে কি না, তা দেখার জন্য মসজিদের পাশে একটি অস্থায়ী চিকিত্সা শিবির গড়া হয়েছে এবং দক্ষিণ দিল্লির এ ঘনবসতিপূর্ণ এলাকার প্রায় দু’হাজার জনকে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে।
মার্চের মাঝামাঝি সময়ে দিল্লির ওই বাংলাওয়ালি মসজিদের তাবলীগ জামাতে যোগ দেওয়া অনেকেই করোনাভাইরাস সংক্রমিত হয়ে থাকতে পারেন বলে প্রশাসনের আশঙ্কার কারণ হচ্ছে, স্থানীয় বাসিন্দারা ছাড়াও সেখানে যোগ দিয়েছিলেন মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, সৌদি আরব এবং কিরঘিজস্তানের নাগরিকরা।
এনডিটিভির খবরে বলা হয়, মসজিদের জমায়েতে যোগ দেওয়ার পর এক জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ১০ জনের কোভিড-১৯ সংক্রমণ ধরাও পড়েছে। অন্ধ্রপ্রদেশে ভাইরাস আক্রান্ত হাওয়া এক ব্যক্তিও মসজিদের জামাতে যোগ দিয়েছিলেন বলে জানতে পেরেছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
এ ছাড়া, শ্রীনগরে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে গত সপ্তাহে মারা যাওয়া এক ইমামও ওই জমায়েতে গিয়েছিলেন। কাশ্মীরে নিজের বাড়িতে ফেরার আগে তিনি উত্তরপ্রদেশের দেওবন্দেও যান। ফলে তার সংস্পর্শে কারা এসেছেন, তারও খোঁজ শুরু করেছেন স্বাস্থ্য বিভোগের কর্মকর্তারা।
প্রশাসন জানিয়েছে, মসজিদের ওই জমায়েতের পর আমন্ত্রিত এক জন ইন্দোনেশীয় এবং সৌদি আরবের ছয় জন নাগরিককে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। আর দিল্লিতে কোয়ারেন্টিনে যাদের রাখা হয়েছে তাদের ওপর পুলিশের টহলদারি ছাড়াও ড্রোন দিয়ে নজরদারি করা হচ্ছে, যাতে সবাই লকডাউন মেনে চলে।