করোনাভাইরাস সংক্রমিত কোভিড-১৯ রোগ মহামারি আকার ধারণ করায় থমকে গেছে গোটা বিশ্ব। ২০০ দেশের লাখ লাখ মানুষের মধ্যে সংক্রমিত হয়েছে এই ভাইরাস। মৃত্যুর সংখ্যাও প্রতিদিন বাড়ছে। সৃষ্টির শুরু থেকে এ রকম নতুন নতুন রোগব্যাধি ও ভাইরাস আবির্ভূত হয়ে মানবজাতিকে স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়, মহান আল্লাহর রহমত ছাড়া বাঁচার কোনো উপায় নেই। পবিত্র কোরআন শরিফের ভাষ্য অনুযায়ী- এমন দুঃসময়ে মানুষের উচিত, আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া জ্ঞাপন করা এবং পাপ মুক্তির জন্য তওবা করা।
মহান আল্লাহ সুবহানাতায়ালা মাঝে মাঝে তার বান্দাদের ভয়, মুসিবত ও বিপদ দিয়ে পরীক্ষা করে থাকেন। এমন সময়ে আল্লাহ তা’আলা ধৈর্য্য ধারণ করতে বলেছেন। বিপদে পড়লে আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইতে হয়। তিনিই একমাত্র উদ্ধারকারী।
মুসলমানদের বিশ্বাস ও ইসলামি গবেষকদের তথ্য মতে, কুরআন নাজিল ৬১০ খ্রীস্টাব্দে শুরু হয়, যখন ফেরেশতা জিব্রাঈল মক্কা নগরীর হেরা পর্বতে, সর্ব প্রথম কোরআনের সূরা আলাক্ব এর প্রথম পাঁচটি আয়াত নবী হযরত মুহাম্মদ (স.)-কে পাঠ করান। আর এই ধারাবাহিকতা ৬৩২ খ্রীস্টআব্দে তার মৃত্যুর মাধ্যমে শেষ হয়।পবিত্র কোরআন শরিফ মানব জাতির সর্বোৎকৃষ্ট ধর্ম গ্রন্থ, সংবিধান এবং পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা।
পবিত্রগ্রন্থ আল কোরআনে মহামারি, এর কারণ এবং সমাধান নিয়ে বিভিন্ন সুরায় বেশ কিছু আয়াত রয়েছে।এইসব আয়াতের সঙ্গে বর্তমান সময়ের বাস্তবতার বেশ মিল রয়েছে।
দৈনিক আমাদের সময় অনলাইনের পাঠকদের জন্য পবিত্র কোরআন শরিফে উদ্ধৃত মহামারি-দুর্যোগ সংক্রান্ত আয়াতগুলো তুলে ধরা হলো।
আল বাকারা (সূরা : ২, আয়াত ২৬)
إِنَّ ٱللَّهَ لَا يَسْتَحْىِۦٓ أَن يَضْرِبَ مَثَلًا مَّا بَعُوضَةً فَمَا فَوْقَهَا فَأَمَّا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ فَيَعْلَمُونَ أَنَّهُ ٱلْحَقُّ مِن رَّبِّهِمْ وَأَمَّا ٱلَّذِينَ كَفَرُوا۟ فَيَقُولُونَ مَاذَآ أَرَادَ ٱللَّهُ بِهَٰذَا مَثَلًا يُضِلُّ بِهِۦ كَثِيرًا وَيَهْدِى بِهِۦ كَثِيرًا وَمَا يُضِلُّ بِهِۦٓ إِلَّا ٱلْفَٰسِقِينَ
বাংলা উচ্চারণ : ইন্নাল্লা-হা লা-ইয়াছতাহঈআইঁ ইয়াদরিবা মাছালাম্মা- বা‘ঊদাতান ফামা- ফাওকাহা- ফাআম্মাল্লাযীনা আ-মানূফাইয়া‘লামূনা আন্নাহুল হাক্কুমিররাব্বিহিম ওয়া আম্মাল্লাযীনা কাফারূ ফাইয়াকূলূনা মা-যাআরা-দাল্লা-হু বিহা-যা- মাছালা- । ইউদিল্লুবিহী কাছীরাওঁ ওয়াহদী বিহী কাছীরাওঁ ওয়ামা- ইউদিল্লুবিহীইল্লাল ফা-ছিকীন।
অর্থ : আল্লাহ পাক নিঃসন্দেহে মশা বা তদুর্ধ্ব বস্তু দ্বারা উপমা পেশ করতে লজ্জাবোধ করেন না। বস্তুত যারা মুমিন তারা নিশ্চিতভাবে বিশ্বাস করে যে, তাদের পালনকর্তা কর্তৃক উপস্থাপিত এ উপমা সম্পূর্ণ নির্ভূল ও সঠিক। আর যারা কাফের তারা বলে, এরূপ উপমা উপস্থাপনে আল্লাহর মতলবই বা কি ছিল। এ দ্বারা আল্লাহ তা’আলা অনেককে বিপথগামী করেন, আবার অনেককে সঠিক পথও প্রদর্শন করেন। তিনি অনুরূপ উপমা দ্বারা অসৎ ব্যক্তিবর্গ ভিন্ন কাকেও বিপথগামী করেন না।
আল বাকারা (সূরা : ২, আয়াত ১৫৫)
وَلَنَبْلُوَنَّكُم بِشَىْءٍ مِّنَ ٱلْخَوْفِ وَٱلْجُوعِ وَنَقْصٍ مِّنَ ٱلْأَمْوَٰلِ وَٱلْأَنفُسِ وَٱلثَّمَرَٰتِ وَبَشِّرِ ٱلصَّٰبِرِينَ
বাংলা উচ্চারণ : ওয়ালানাবলুওয়ান্নাকুম বিশাইয়িম মিনাল খাওফি ওয়ালজূ‘ই ওয়ানাকসিম মিনাল আমওয়া-লি ওয়াল আনফুছি ওয়াছছামারা-তি ওয়া বাশশিরিসসা-বিরীন।
অর্থ : আমি তোমাদেরকে পরীক্ষা করব কিছুটা ভয় ও ক্ষুধা এবং ধন-সম্পদ, জীবন এবং ফল-ফসল বিনষ্টের মাধ্যমে, তুমি সবরকারীদের সুসংবাদ দাও।
আল-ইমরান ( সূরা ৩, আয়াত ১৮)
وَلَا يَحْسَبَنَّ ٱلَّذِينَ كَفَرُوٓا۟ أَنَّمَا نُمْلِى لَهُمْ خَيْرٌ لِّأَنفُسِهِمْ إِنَّمَا نُمْلِى لَهُمْ لِيَزْدَادُوٓا۟ إِثْمًا وَلَهُمْ عَذَابٌ مُّهِينٌ
বাংলা উচ্চারণ : ওয়ালা-ইয়াহছাবান্নাল্লাযীনা কাফারূআন্নামা-নুমলী লাহুম খাইরুল লিআনফুছিহম ইন্নামা-নুমলী লাহুম লিইয়াঝদা-দূ ইছমাওঁ ওয়ালাহুম ‘আযা-বুম মুহীন।
অর্থ : কাফেররা যেন মনে না করে যে, আমি যে অবকাশ দান করি, তা তাদের পক্ষে কল্যাণকর। আমি তো তাদেরকে অবকাশ দেই যাতে করে তারা পাপে উন্নতি লাভ করতে পারে। বস্তুতঃ তাদের জন্য রয়েছে লাঞ্ছনাজনক শাস্তি।
আল-আহযাব (সূরা: ৩৩, আয়াত ৯)
يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ ٱذْكُرُوا۟ نِعْمَةَ ٱللَّهِ عَلَيْكُمْ إِذْ جَآءَتْكُمْ جُنُودٌ فَأَرْسَلْنَا عَلَيْهِمْ رِيحًا وَجُنُودًا لَّمْ تَرَوْهَا وَكَانَ ٱللَّهُ بِمَا تَعْمَلُونَ بَصِيرًا
বাংলা উচ্চারণ : ইয়া আইয়ুহাল্লাযীনা আ-মানুযকুরূনি‘মাতাল্লা-হি ‘আলাইকুম ইযজাআতকুম জুনূদুন ফাআরছালনা-‘আলাইহিম রীহাওঁ ওয়া জুনূদাল্লাম তারাওহা- ওয়া কা-নাল্লা-হু বিমাতা‘মালূনা বাসীরা-।
অর্থ : হে মুমিনগণ! তোমরা তোমাদের প্রতি আল্লাহর নেয়ামতের কথা স্মরণ কর, যখন শত্রুবাহিনী তোমাদের নিকটবর্তী হয়েছিল, অতঃপর আমি তাদের বিরুদ্ধে ঝঞ্চাবায়ু এবং এমন সৈন্যবাহিনী প্রেরণ করেছিলাম, যাদেরকে তোমরা দেখতে না। তোমরা যা কর, আল্লাহ তা দেখেন।
ইয়া সিন (সূরা : ৩৬, আয়াত ২৮)
وَمَآ أَنزَلْنَا عَلَىٰ قَوْمِهِۦ مِنۢ بَعْدِهِۦ مِن جُندٍ مِّنَ ٱلسَّمَآءِ وَمَا كُنَّا مُنزِلِينَ
বাংলা উচ্চারণ : ওয়ামাআনঝালনা-‘আলা-কাওমিহী মিম বা‘দিহী মিন জুনদিম মিনাছ ছামাইওয়ামা-কুন্নামুনঝিলীন।
অর্থ : তারপর আমি তার সম্প্রদায়ের উপর আকাশ থেকে কোনো বাহিনী অবতীর্ণ করিনি এবং এটার প্রয়োজন ছিল না।
ইয়া সিন (সূরা : ৩৬, আয়াত ২৯)
إِن كَانَتْ إِلَّا صَيْحَةً وَٰحِدَةً فَإِذَا هُمْ خَٰمِدُونَ
বাংলা উচ্চারণ : ইন কা-নাত ইল্লা-সাইহাতাওঁ ওয়া-হিদাতান ফাইযা-হুম খা-মিদূন।
অর্থ : বস্তুতঃ এ ছিল এক মহানাদ। অতঃপর সঙ্গে সঙ্গে সবাই স্তদ্ধ হয়ে গেল।
আ’রাফ (সূরা : ৭, আয়াত ৯৭)
أَفَأَمِنَ أَهْلُ ٱلْقُرَىٰٓ أَن يَأْتِيَهُم بَأْسُنَا بَيَٰتًا وَهُمْ نَآئِمُونَ
বাংলা উচ্চারণ : আফা আমিনা আহলুল কুরা আইঁআইয়া’তিয়াহুম বা’ছুনা-বায়া-তাওঁ ওয়া হুম নাইমূন।
অর্থ : এখনও কি এই জনপদের অধিবাসীরা এ ব্যাপারে নিশ্চিন্ত যে, আমার আযাব তাদের উপর রাতের বেলায় এসে পড়বে অথচ তখন তারা থাকবে ঘুমে অচেতন।
আ’রাফ (সূরা : ৭, আয়াত ৯৮)
أَوَأَمِنَ أَهْلُ ٱلْقُرَىٰٓ أَن يَأْتِيَهُم بَأْسُنَا ضُحًى وَهُمْ يَلْعَبُونَ
বাংলা উচ্চারণ : আওয়া আমিনা আহলুল কুরাআইঁ ইয়া’তিয়াহুম বা’ছুনা-দু হাওঁ ওয়া হুম ইয়াল‘আবূন।
অর্থ : আর এই জনপদের অধিবাসীরা কি নিশ্চিন্ত হয়ে পড়েছে যে, তাদের উপর আমার আযাব দিনের বেলাতে এসে পড়বে অথচ তারা তখন থাকবে খেলা-ধুলায় মত্ত।
আ’রাফ (সূরা : ৭, আয়াত ১৩০)
وَلَقَدْ أَخَذْنَآ ءَالَ فِرْعَوْنَ بِٱلسِّنِينَ وَنَقْصٍ مِّنَ ٱلثَّمَرَٰتِ لَعَلَّهُمْ يَذَّكَّرُونَ
বাংলা উচ্চারণ : ওয়া লাকাদ আখাযনাআ-লা ফির‘আওনা বিছছিনীনা ওয়া নাকসিম মিনাছছামারা-তি লা‘আল্লাহুম ইয়াযযাক্কারূন।
অর্থ : তারপর আমি পাকড়াও করেছি-ফেরাউনের অনুসারীদেরকে দুর্ভিক্ষের মাধ্যমে এবং ফল ফসলের ক্ষয়-ক্ষতির মাধ্যমে যাতে করে তারা হুঁশিয়ার করে।
আ’রাফ (সূরা : ৭, আয়াত ১৩৩)
فَأَرْسَلْنَا عَلَيْهِمُ ٱلطُّوفَانَ وَٱلْجَرَادَ وَٱلْقُمَّلَ وَٱلضَّفَادِعَ وَٱلدَّمَ ءَايَٰتٍ مُّفَصَّلَٰتٍ فَٱسْتَكْبَرُوا۟ وَكَانُوا۟ قَوْمًا مُّجْرِمِينَ
বাংলা উচ্চারণ : ফাআরাছালনা-‘আলাইহিমুততূফা-না ওয়াল জারা-দা ওয়াল কুম্মালা ওয়াদ্দাফা-দি‘আ ওয়াদ্দামা আ-য়া-তিম মুফাসসালা-তিন ফাছতাকবারূওয়া কা-নূকাওমাম মুজরিমীন।
অর্থ : অতপর, বিভিন্ন সময়ে আমি তাদের প্রতি তুফান, পঙ্গপাল, উকুন, ব্যাঙ ও রক্ত প্রভৃতি বহুবিধ নিদর্শন একের পর এক নাজিল করলাম। তারপরেও তারা গর্ব করতে থাকল। বস্তুতঃ তারা ছিল পাপাসক্ত। আন’আম (সূরা-৬, আয়াত ৪২)
وَلَقَدْ أَرْسَلْنَآ إِلَىٰٓ أُمَمٍ مِّن قَبْلِكَ فَأَخَذْنَٰهُم بِٱلْبَأْسَآءِ وَٱلضَّرَّآءِ لَعَلَّهُمْ يَتَضَرَّعُونَ
বাংলা উচ্চারণ : ওয়া লাকাদ আরছালনাইলাউমামিম মিন কাবলিকা ফাআখাযনা-হুম বিল বা’ছাই ওয়াদ্দাররাই লা‘আল্লাহুম ইয়াতাদাররা‘ঊন।
অর্থ : আর আমি আপনার পূর্ববর্তী উম্মতদের প্রতিও পয়গম্বর প্রেরণ করেছিলাম। অতঃপর আমি তাদেরকে অভাব-অনটন ও রোগ-ব্যধি দ্বারা পাকড়াও করেছিলাম যাতে তারা কাকুতি মিনতি করে।
আন’আম (সূরা-৬, আয়াত ৪৪)
فَلَمَّا نَسُوا۟ مَا ذُكِّرُوا۟ بِهِۦ فَتَحْنَا عَلَيْهِمْ أَبْوَٰبَ كُلِّ شَىْءٍ حَتَّىٰٓ إِذَا فَرِحُوا۟ بِمَآ أُوتُوٓا۟ أَخَذْنَٰهُم بَغْتَةً فَإِذَا هُم مُّبْلِسُونَ
বাংলা উচ্চারণ : ফালাম্মা-নাছূমা-যুককিরূ বিহী ফাতাহনা- ‘আলাইহিম আবওয়া-বা কুল্লি শাইয়িন হাত্তাইযা-ফারিহূবিমাঊতূআখাযনা-হুম বাগতাতান ফাইযা-হুম মুবলিছূন।
অর্থ : অতঃপর তারা যখন ওই উপদেশ ভুলে গেল, যা তাদেরকে দেয়া হয়েছিল, তখন আমি তাদের সামনে সব কিছুর দ্বার উম্মুক্ত করে দিলাম। এমনকি, যখন তাদেরকে প্রদত্ত বিষয়াদির জন্যে তারা খুব গর্বিত হয়ে পড়ল, তখন আমি অকস্মাৎ তাদেরকে পাকড়াও করলাম। তখন তারা নিরাশ হয়ে গেল।
আন’আম (সূরা-৬, আয়াত ৪৫)
فَقُطِعَ دَابِرُ ٱلْقَوْمِ ٱلَّذِينَ ظَلَمُوا۟ وَٱلْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ ٱلْعَٰلَمِينَ
বাংলা উচ্চারণ : ফাকুতি‘আ দা-বিরুল কাওমিল্লাযীনা জালামূ ওয়াল হামদুলিল্লা-হি রাব্বিল ‘আলামীন।
অর্থ : অতঃপর জালেমদের মূল শিকড় কর্তিত হলো। সমস্ত প্রশংসা আল্লাহরই জন্যে, যিনি বিশ্বজগতের পালনকর্তা।
আন’আম (সূরা-৬, আয়াত ৬৫)
قُلْ هُوَ ٱلْقَادِرُ عَلَىٰٓ أَن يَبْعَثَ عَلَيْكُمْ عَذَابًا مِّن فَوْقِكُمْ أَوْ مِن تَحْتِ أَرْجُلِكُمْ أَوْ يَلْبِسَكُمْ شِيَعًا وَيُذِيقَ بَعْضَكُم بَأْسَ بَعْضٍ ٱنظُرْ كَيْفَ نُصَرِّفُ ٱلْءَايَٰتِ لَعَلَّهُمْ يَفْقَهُونَ
বাংলা উচ্চারণ : কুল হুওয়াল কা-দিরু ‘আলাআইঁ ইয়াব‘আছা ‘আলাইকুম ‘আযা-বাম মিন ফাওকিকুম আও মিন তাহতি আরজুলিকুম আও ইয়াল বিছাকুম শিয়া‘আওঁ ওয়া ইউযীকা বা‘দাকুম বা’ছা বা‘দিন উনজু র কাইফা নুসাররিফুল আ-য়া-তি লা‘আল্লাহুম ইয়াফকাহূন।
অর্থ : আপনি বলুন- তিনিই শক্তিমান যে, তোমাদের উপর কোন শাস্তি উপর দিক থেকে অথবা তোমাদের পদতল থেকে প্রেরণ করবেন অথবা তোমাদেরকে দলে-উপদলে বিভক্ত করে সবাইকে মুখোমুখী করে দিবেন এবং এককে অন্যের উপর আক্রমণের স্বাদ আস্বাদন করাবেন। দেখ, আমি কীভাবে আয়াত বিবৃত করছি যাতে তারা বুঝে নেয়।
আস-সাফফাত (সূরা : ৩৭, আয়াত ১৭৩)
وَإِنَّ جُندَنَا لَهُمُ ٱلْغَٰلِبُونَ
বাংলা উচ্চারণ : ওয়া ইন্না জুনদানা-লাহুমুল গা-লিবূন।
অর্থ : আর আমার বাহিনীই হয় বিজয়ী।
আস-সাফফাত (সূরা : ৩৭, আয়াত ১৭৪)
فَتَوَلَّ عَنْهُمْ حَتَّىٰ حِينٍ
বাংলা উচ্চারণ : ফাতাওয়াল্লা ‘আনহুম হাত্তা-হীন।
অর্থ : অতএব আপনি কিছুকালের জন্যে তাদেরকে উপেক্ষা করুন।
ত্বা হা (সূরা : ২০, আয়াত ১৪)
إِنَّنِىٓ أَنَا ٱللَّهُ لَآ إِلَٰهَ إِلَّآ أَنَا۠ فَٱعْبُدْنِى وَأَقِمِ ٱلصَّلَوٰةَ لِذِكْرِىٓ
বাংলা উচ্চারণ : ইন্নানীআনাল্লা-হু লাইলা-হা ইল্লাআনা-ফা‘বুদনী ওয়া আকিমিসসালা-তা লিযিকরী।
অর্থ : আমিই আল্লাহ, আমি ব্যতীত কোনো ইলাহ নেই। অতএব আমার এবাদত কর এবং আমার স্মরণার্থে নামাজ কায়েম কর।
আল-মুলক (সূরা : ৬৭, আয়াত : ১৬)
ءَأَمِنتُم مَّن فِى ٱلسَّمَآءِ أَن يَخْسِفَ بِكُمُ ٱلْأَرْضَ فَإِذَا هِىَ تَمُورُ
বাংলা উচ্চারণ : আ আমিনতুম মান ফিছছামাই আইঁ ইয়াখছিফা বিকুমুল আরদা ফাইযা- হিয়া তামূর।
অর্থ : তোমরা কি ভাবনামুক্ত হয়ে গেছ যে, আকাশে যিনি আছেন তিনি তোমাদেরকে ভূগর্ভে বিলীন করে দেবেন, অতঃপর তা কাঁপতে থাকবে।
আল-মুলক (সূরা : ৬৭, আয়াত : ১৭)
أَمْ أَمِنتُم مَّن فِى ٱلسَّمَآءِ أَن يُرْسِلَ عَلَيْكُمْ حَاصِبًا فَسَتَعْلَمُونَ كَيْفَ نَذِيرِ
বাংলা উচ্চারণ : আম আমিনতুম মান ফিছছামাই আইঁ ইউরছিলা ‘আলাইকুম হা-সিবান ফাছাতা‘লামূনা কাইফা নাযীর।
অর্থ : না তোমরা নিশ্চিন্ত হয়ে গেছ যে, আকাশে যিনি আছেন, তিনি তোমাদের উপর প্রস্তর বৃষ্টি বর্ষণ করবেন, অতঃপর তোমরা জানতে পারবে কেমন ছিল আমার সতর্কবাণী।
আল-ফজর (সূরা : ৮৯, আয়াত ৬)
أَلَمْ تَرَ كَيْفَ فَعَلَ رَبُّكَ بِعَادٍ
বাংলা উচ্চারণ : আলাম তারা কাইফা ফা‘আলা রাব্বুকা বি‘আ-দ।
অর্থ : আপনি কি লক্ষ্য করেননি, আপনার পালনকর্তা আদ বংশের ইরাম গোত্রের সাথে কি আচরণ করেছিলেন
আল-ফজর (সূরা : ৮৯, আয়াত ৭)
إِرَمَ ذَاتِ ٱلْعِمَادِ
বাংলা উচ্চারণ : ইরামা যা-তিল ‘ইমা-দ
অর্থ : যাদের দৈহিক গঠন স্তম্ভ ও খুঁটির ন্যায় দীর্ঘ ছিল এবং
আল-ফজর (সূরা : ৮৯, আয়াত ৮)
ٱلَّتِى لَمْ يُخْلَقْ مِثْلُهَا فِى ٱلْبِلَٰدِ
বাংলা উচ্চারণ : আল্লাতি লাম ইউখলাকমিছলুহা-ফিল বিলা-দ।
অর্থ : যাদের সমান শক্তি ও বলবীর্যে সারা বিশ্বের শহরসমূহে কোনো লোককে দেওয়া হয়নি
আল-ফজর (সূরা : ৮৯, আয়াত ৯)
وَثَمُودَ ٱلَّذِينَ جَابُوا۟ ٱلصَّخْرَ بِٱلْوَادِ
বাংলা উচ্চারণ : ওয়া ছামূদাল্লাযীনা জা-বুসসাখরা বিল ওয়া-দ।
অর্থ : এবং সামুদ গোত্রের প্রতি, যারা উপত্যকায় পাথর কেটে গৃহ নির্মাণ করেছিল।
আল-ফজর (সূরা : ৮৯, আয়াত ১০)
وَفِرْعَوْنَ ذِى ٱلْأَوْتَادِ
বাংলা উচ্চারণ : ওয়া ফির‘আউনা যীল আওতা-দ।
অর্থ : এবং সৈন্যবাহিনীর অধিপতি ফেরাউনের প্রতি
আল-ফজর (সূরা : ৮৯, আয়াত ১১)
ٱلَّذِينَ طَغَوْا۟ فِى ٱلْبِلَٰدِ
বাংলা উচ্চারণ : আল্লাযীনা তাগাও ফিল বিলা-দ।
অর্থ : যারা দেশে সীমালঙ্ঘন করেছিল।
আল-ফজর (সূরা : ৮৯, আয়াত ১২)
فَأَكْثَرُوا۟ فِيهَا ٱلْفَسَادَ
বাংলা উচ্চারণ : ফাআকছারূ ফীহাল ফাছা-দ।
অর্থ : অতঃপর সেখানে বিস্তর অশান্তি সৃষ্টি করেছিল।
আল-ফজর (সূরা : ৮৯, আয়াত ১৩)
فَصَبَّ عَلَيْهِمْ رَبُّكَ سَوْطَ عَذَابٍ
বাংলা উচ্চারণ : ফাসাব্বা ‘আলাইহিম রাব্বুকা ছাওতা ‘আযা-ব।
অর্থ : অতঃপর তোমার পালনকর্তা তাদেরকে শাস্তির কশাঘাত করলেন।
আল-ফজর (সূরা : ৮৯, আয়াত ১৪)
إِنَّ رَبَّكَ لَبِٱلْمِرْصَادِ
বাংলা উচ্চারণ : ইন্না রাব্বাকা লাবিলমিরসা-দ।
অর্থ : নিশ্চয় তোমার পালকর্তা সতর্ক দৃষ্টি রাখেন।
বিপদ-আপদ, রোগ-ব্যাধি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য আরেকটি দোয়া হলো-
আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত- রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এই দোয়া করতেন।
اَللَّھُمَّ اِنِّیْ اَعُوْذُبِکَ مِنَ الْبَرَصِ وَالْجُنُوْنِ وَالْجُذَامِ وَسَیِّءِ الْاَسْقَامِ
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্নি আউযুবিকা মিনাল বারসি ওয়াল জুনুনি ওয়াল জুজামি ওয়া মিন ছাইয়্যি ইল আসকম।
অর্থ: হে আল্লাহ অবশ্যই আমি তোমার নিকট ধবল, উন্মাদ, কুষ্ঠরোগ এবং সকল প্রকার মারাত্নক ব্যাধি থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। (আবু দাউদ ২/৯৩,সহী তিরমিযী ৩/১৮৪; সহিহ নাসাঈ ৩/১১১৬)
এদিকে, ইসলামিক ফাউন্ডেশনও চলমান মহামারি থেকে বাঁচার জন্য মহান আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইতে লোকজনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। সেইসঙ্গে সব গুনাহ ও অপরাধ থেকে বিরত থেকে বেশি বেশি তওবা ও ইস্তিগফার করা এবং সর্বদা দোয়া পড়তে বলা হয়।
যে দুটি বিশেষ দোয়া পড়তে বলেছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন-
১. ‘লা ইলাহা ইল্লা আনতা সুবহানাকা ইন্নি কুন্তু মিনাজ জোয়ালিমিন’
২. ‘বিসমিল্লা হিল্লাযি লা ইয়াদুররু মা’আছমিহি শাইউন ফিল আরদি ওয়ালা ফিছছামায়ি ওয়া হুয়াছ ছামিয়ুল আলিম।’