যুক্তরাষ্ট্রে মৃত্যুর মিছিলে প্রতিদিন যোগ হচ্ছে নতুন নতুন নাম।
সবচেয় করুণ অবস্থা নিউইয়র্ক নগরীর। ঘুম থেকে উঠলে মৃত্যুর সংবাদ, ঘুমাতে গেলে মৃত্যুর সংবাদ। এই রকম কঠিন বাস্তবতা নিয়ে বেঁচে আছেন নির্ঘুম রাজ্যের প্রজারা।
হাসপাতালগুলোতে নেই রোগী রাখার জায়গা। লাশ বের হলে বেড খালি হচ্ছে। কেউ বা আক্রান্ত হলে হাসপাতালের ফ্লোরে থাকতে হয় ঘন্টার পর ঘন্টা। এমন পরিস্থিতিতে চিকিৎসক, নার্সও স্তব্দ। হাসপাতালে নেই প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম, রোগীর তুলনায় ভেন্টিলেটর সংখ্যা অতি সামান্য। আর সেই কারণে মারা যাচ্ছেন আক্রান্ত রোগীরা।
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত দুইদিনে আমেরিকায় ১৫ বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার করোনা আক্রান্ত হয়ে আরো ৫ বাংলাদেশি মারা গেছেন। এর মধ্যে ৪জন নিউইয়র্কে এবং একজন নিউজার্সি।
ভাইরাসের কারণে প্রাণ হারিয়েছেন, বিএনপি নেতা তানভীর হাসান প্রিন্স, মুনিম চৌধুরী, নুসরাত মজুমদার, সুরুজ খান।
এছাড়া নিউজার্সি প্যাটারসনে সাইফুল ইসলামের শাশুড়ি মারা করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।
এ নিয়ে আমেরিকায় ৩৫ জন বাংলাদেশি করোনাভাইরাসে মারা গেলেন।
নিউইয়র্কে ব্যাপকভাবে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। নগরের বিভিন্ন এলাকায় বসবাসরত প্রায় প্রতিটি পরিবারের কোনো স্বজন বা পরিচিত মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে পড়েছেন। আক্রান্ত ও মৃত্যু সংখ্যা নিয়ে সংবাদমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্রচারে অনেকেই অজানা আতঙ্কে ভুগছেন। অনেকেই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ঘরে ফিরছেন বা ঘরে কোনো চিকিৎসা ছাড়াই সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
আমেরিকায় এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৩ হাজার ৭৮০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৮৫ হাজার ২৭০ জন। নিউইয়র্ক রাজ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছেন। এ পর্যন্ত করোনায় নিউইয়র্কে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ৭৫ হাজার ৭৯৫। এতে মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ৫৫০ জনের।