ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেছেন, ‘পেঁয়াজ কাণ্ডের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে আনা হবে।’
আজ সোমবার টিসিবি ভবনে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ‘পেঁয়াজ সিন্ডিকেটে যারা রয়েছে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে। গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন স্থানে মজুদদাররা কোথায় কীভাবে পেঁয়াজ মজুদ করে রেখেছে সেই তথ্য নেয়া হচ্ছে।’
এ সময়, এক সপ্তাহের মধ্যে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে আনার পাশাপাশি ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চের মধ্যে পেঁয়াজের দাম সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনার আশ্বাসও দেন তিনি।
এদিকে দাম ধরতে ব্যাপকভাবে মুড়িকাটা পেঁয়াজ বাজারে এসেছে। যার ফলে আকাশচুম্বী মূল্য কিছুটা হলেও কমতে শুরু করেছে। একদিনের ব্যবধানে কেজিতে পেঁয়াজের দাম কমেছে ৪০ থেকে ৬০ টাকা। সরবরাহ বাড়লে দাম আরও কমবে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
আজ সোমবার সকাল থেকে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন বাজারে আগের দিনের তুলনায় বেশি পরিমাণে মুড়িকাটা পেঁয়াজের দেখা মিলেছে। দামও তুলনামূলক কম।
এদিন রাজধানী বিভিন্ন বাজারে মুড়িকাটা পেঁয়াজ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১১০ টাকায়। আর পুরোনো দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা কেজিতে।
শুক্রবার হঠাৎ করেই পেঁয়াজ রপ্তানি নিষিদ্ধ করে ভারত। এই খবরে ঘণ্টায় ঘণ্টায় বাড়তে থাকে নিত্যপ্রয়োজনীয় এ পণ্যটির দাম। ৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে পাইকারিতেই পেঁয়াজের দাম বেড়ে যায় কেজিতে ১৪০ টাকার বেশি।
খুচরায় রবিবার বেশিরভাগ দোকানে আড়াইশ’ টাকা কেজিতে বিক্রি হয় পেঁয়াজ। কোথাও কোথাও ২৮০ টাকায় উঠে যায় দাম।