ইতিহাস গড়া সিরিজ শেষে সুখস্মৃতি নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে দেশে ফিরেছে বাংলাদেশ নারী দল। সিরিজ যদিও জেতা হয়নি, তবে অর্জনের পাল্লা মোটেও হালকা নয়। দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারানোই বা কম অর্জন কিসে।
সমান তিন ম্যাচের ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যায় বাংলাদেশ নারী দল। যদিও সিরিজ জেতা হয়নি, তবে উভয় ফরম্যাটেই প্রথমবারের মতো ঘরের মাঠে স্বাগতিক নারীদের হারের তিক্ত স্বাদ দেয় বাঘিনীরা।
সিরিজ জয়ের দারুণ সম্ভাবনাও জাগিয়ে তুলেছিল টাইগ্রিসরা। টি-টোয়েন্টি সিরিজ নিষ্পত্তি হয় ১-১ সমতায়। অপরটি ভণ্ডুল হয় বৃষ্টিতে। অপরদিকে ওয়ানডে সিরিজে এগিয়ে গিয়েও হারতে হয় ১-২ ব্যবধানে। তবুও ইতিহাস বিবেচনায় এই অর্জন নেহায়েত কম নয়।
সোমবার গভীর রাতে এমন সুখস্মৃতি নিয়ে দেশের মাটিতে পা রাখেন জ্যোতিরা। তবে এতো রাতে তাদের অভ্যর্থনা জানাতে ছিল না বিশেষ কোনো ব্যবস্থা। গণমাধ্যমের সংখ্যাও ছিল নগণ্য। তবে যারা ছিলেন- তাদেরকেই বাংলাদেশ অধিনায়ক জানালেন নিজেদের তৃপ্তির কথা।
ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ দল সংগ্রহ করে ৩ উইকেটে ২৫০ রান। যা ওয়ানডে ইতিহাসে বাংলাদেশের মেয়েদের সর্বোচ্চ। তাছাড়া সিরিজ জুড়ে বেশ দাপুটে ব্যাট করেছেন জ্যোতি-পিংকিরা। যা বাংলাদেশের মেয়েদের থেকে বিরল পাওয়া।
এই নিয়ে জ্যোতি বলেন, ‘দলের পারফরম্যান্সে আমি হতাশ নই। কারণ সাউথ আফ্রিকার মাটিতে তাদের আমরা প্রথমবারের মতো হারিয়েছি। দ্বিতীয়ত হচ্ছে ধারাবাহিকভাবে দুইটা ম্যাচে দুই শ’র বেশি রান করেছি এটা কিন্তু দলের জন্য বড় অর্জন।’
‘এটা সবসময় দেখতাম যে আমাদের ব্যাটিংটা নিয়ে প্রশ্ন উঠতো আমরা কেন রান করতে পারছি না কিংবা ব্যাটাররা কেন একটা ছন্দে আসছে না। আমার কাছে মনে ব্যাটারদের জন্য এই সফরে অন্তত অনেক কিছু অর্জনের ছিল।’