মালয়েশিয়ায় অনিয়মিত ও অনিবন্ধিত অভিবাসী বিরোধী সাঁড়াশি অভিযানে বাংলাদেশী ২০৫ জন প্রবাসীসহ বিভিন্ন দেশের ৫৬১ জন অভিবাসীকে আটক করেছে দেশটির যৌথ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও ইমিগ্রেশন বিভাগের পুলিশ।
শনিবার (২০ জানুয়ারি) সকালে ইমিগ্রেশন বিভাগের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। এ অভিযানের নেতৃত্ব দিয়েছেন মালয়েশিয়া অভিবাসন বিভাগের মহাপরিচালক দাতুক রুসলিন জুসোহ।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শুক্রবার গভীর রাত ১১টার দিকে দেশটির বেরানাং পাংসাপুরি বৈদুরি এলাকায় অবস্থিত একটি আবাসিক ভবনে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়েছে। পুলিশ বলছে, তাদের কাছে বৈধ কাগজপত্র না থাকায় আটক করা হয়েছে। পরবতী পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য কুয়ালালামপুরের বুকিত জলিল ইমিগ্রেশন ডিপোতে ১৪ দিনের জন্য রিমান্ডে নেয়া হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়, আটককৃতদের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশের ২০৫ জন, মিয়ানমারের ২০০ জন, নেপালের ৬৫ জন, ইন্দোনেশিয়ার ৪৩ জন, পাকিস্তানের ৩৮ জন, শ্রীলঙ্কার ৩ জন নাগরিক।
বাকি অভিবাসীরা হচ্ছেন- কম্বোডিয়া, ভারত, সিয়েরালিয়ন ও ক্যামেরুন -এর নাগরিক। অভিযানের সময় মোট ৭৫২ জন অভিবাসীর ডকুমেন্টস চেক করা হয়েছিল।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এ সময় এসব অভিবাসীর বিরুদ্ধে স্থানীয়রা নাগরিকরা অভিযোগ করেছেন যে- অভিবাসী শ্রমিকরা এ্যাপার্টমেন্টে গাদাগাদি করে অবস্থান করছে এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বসবাস করছেন। এতে স্থানীয়রা বিরক্ত হয়ে ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে গোপনে অভিযোগ করেছেন।
অভিযানে অংশ নেন- বিভিন্ন পদমর্যাদার মোট ৪৫৫ জন ইমিগ্রেশন অফিসার। ৬০ জন জেনারেল অপারেশনস ফোর্স (পিজিএ) অফিসার, ১২ জন ন্যাশনাল রেজিস্ট্রেশন ডিপার্টমেন্ট (জেপিএন) অফিসার এবং মালয়েশিয়ার সিভিল ডিফেন্স ফোর্সের (এপিএম) পাঁচজন সদস্য এতে অংশ্রগ্রহণ করেন। আটক অভিবাসীদের দেশটির অভিবাসন আইন ১৯৫৯/৬৩ -এর অধীনে তদন্ত করে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বুকিত জলিল ইমিগ্রেশন ডিপো-তে ১৪ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। তবে ১৪ দিনের মধ্যে বৈধ ডকুমেন্টস ও প্রয়োজনীয় তথ্য দিতে পারলে অভিবাসীরা সেখান থেকে মুক্তি পেতে পারেন।