২০১০ সালে ভারতের টেনিস তারকা সানিয়া মির্জাকে বিয়ে করেছিলেন পাকিস্তানের ক্রিকেটার শোয়েব মালিক। ২০১৮ সালে তাদের ঘর আলো করে আসে প্রথম সন্তান ইজহান মির্জা মালিক। তখন সবকিছু ঠিকঠাকই মনে হচ্ছিল। তবে গত কয়েক বছর ধরেই তাদের বিচ্ছেদ নিয়ে গুঞ্জন চলছিল। সেই গুঞ্জন সত্যি হয় পাকিস্তানি অভিনেত্রী সানা জাভেদের সঙ্গে শোয়েবের বিয়ের পর।
অন্যদিকে, সানাও ডিভোর্স দেন স্বামী উমাইর জয়সওয়ালকে। তবে সানিয়া শোয়েবের পরকীয়ার বিষয়টি ধরতে পারলেও বিয়ের কয়েক মাস আগেও স্বামীর কাছে শোয়েবের ব্যাপারটি আড়াল করে রেখেছিলেন সানা। এমনকি স্বামীকে লুকিয়েই শোয়েবের সঙ্গে তিনি প্রায় ৩ বছর প্রেম করেছেন বলে দাবি করেছেন পাকিস্তানি এক সাংবাদিক। তার বরাত দিয়ে এমন প্রতিবেদন তৈরি করেছেন ভারতের টাইমস অব ইন্ডিয়াসহ বেশ কিছু গণমাধ্যম।
সম্প্রতি পাকিস্তানি গণমাধ্যম সামা টিভির একটি পডকাস্টে চাঞ্চল্যকর এসব তথ্য তুলে ধরেন নাইম হানিফ নামের ওই সাংবাদিক। হানিফ জানিয়েছেন, প্রথমে একটি ‘টিভি শো’তে পরিচয় হয় সানা ও শোয়েবের। এরপর থেকে মাঝে-মধ্যেই দেখা সাক্ষাৎ হতো তাদের।
এমনকি শোয়েব নাকি সেই শো’তে আসার জন্য এমন শর্তও দিয়েছিলেন যে, তাকে আমন্ত্রণ জানানো হলে যেন সানাকেও অতিথি করা হয়, তাহলেই তিনি আসবেন। কিন্তু তখন বিষয়টি নিয়ে কোনো গুঞ্জন ওঠেনি। কারণ, সানা তখন উমাইর জয়সওয়ালের স্ত্রী। তাদেরকে ভালো বন্ধু বলেই ধরে নিয়েছিল চ্যানেল কর্তৃপক্ষ।
শোয়েব ও সানার এই বিয়েতে মত ছিল না শোয়েবের পরিবারেরও। বিয়ের অনুষ্ঠানে তার পরিবারের কেউ না থাকা সেটিই নির্দেশ করে। যখন থেকে সানিয়ার সঙ্গে শোয়েবের ঝামেলা চলছিল, তখন বিষয়টি পারিবারিকভাবে সমাধানও করতে চেয়েছিলেন তারা। গিয়েছিলেন দুবাইতে। কিন্তু বিচ্ছেদের পক্ষেই ছিলেন শোয়েব-সানিয়া।
আর, ২০২০ সালের অক্টোবরে সঙ্গীত শিল্পী উমায়ের জসওয়ালের সঙ্গে বিয়ে-বন্ধনে আবদ্ধ হন সানা জাভেদ। করাচিতে অনুষ্ঠিত তাদের সেই অনুষ্ঠানের পর পাকিস্তানে আলোচনার জায়গা দখল করে নিয়েছিলেন এই দম্পতি।