দীর্ঘ হলো ফরচুন বরিশালের অপেক্ষা। আজও ফেরা হয়নি জয়ের ধারায়। নামে-ভারে আর অভিজ্ঞতায় চলতি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) সবচেয়ে সফল দলটি পেল হ্যাটট্রিক হারের লজ্জা। বিপরীতে ছুটে চলেছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। আসরে নিজেদের তৃতীয় জয়ের দেখা পেয়ে গেল বন্দরনগরীর দলটি।
শনিবার সিলেটে আগে ব্যাট করে আসর সর্বোচ্চ ১৯৩ রানের পুঁজি পায় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। বরিশালকে তাই জিততে হলে রেকর্ড গড়েই জিততে হতো, চেষ্টাও করে বটে। তবে শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেট হারিয়ে ১৮৩ রানের বেশি করা হয়নি। বরিশাল হেরে যায় ১০ রানে।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে অবশ্য আসরে প্রথমবার খেলতে নামা আহমেদ শেহজাদের ব্যাটে দারুণ শুরু পায় বরিশাল। পাঁচ ওভারেই তুলে নেয় ৫০ রান। তবে পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে ১৭ বলে ৩৯ করে শেহজাদ ফিরলে কমে আসে রানের গতি।
তামিম ইকবাল ৩০ বলে ৩৩, সৌম্য সরকার ১৬ বলে ১৭ করলেও তা দলের তেমন উপকারে আসনি। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ৩ ও ইয়ানিক ক্রে ফেরেন ৪ রানে। এই চারজনকেই ফেরান কার্টিস ক্যাম্ফার। ১০১ রানে ৫ উইকেট হারায় বরিশাল।
যখন মনে হচ্ছিল এক পেশেভাবে জিততে চলেছে চট্টগ্রাম, তখন খানিকটা উত্তেজনা ছড়ান মেহেদী মিরাজ। শেষ দিকে ১৬ বলে ৩৫ রানের এক ইনিংস খেলে অবিশ্বাস্য কিছুর সম্ভাবনা জাগিয়ে তুলেন। তবে তাকে সঙ্গ দিতে পারেননি মুশফিক। অপরপ্রান্ত থেকে ২২ বলে মাত্র ২৩ রান করেন তিনি।
মিরাজকে আল আমিন ফেরানোর পর মুশফিককে ফেরান বিলাল। এরপর অবশ্য আব্বাস আফ্রিদি ও দুনিথ ভেল্লালেগে মিলে করেন ১২ বলে ২১* রান। তবে তা জয়ের জন্য যথেষ্ট হয়নি।
এর আগে, আভিস্কা ফার্নান্দোর ৫০ বলে ৯১* রানের ঝড়ে বড় পুঁজি পায় চট্টগ্রাম। যদিও টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারেই হোচট খায় তারা। উদ্বোধনী জুটি ভেঙে ১২ রান করে ফেরেন তানজিদ তামিম। তৃতীয় ওভারে হয় দ্বিতীয় উইকেটের পতন। ব্যর্থতার বৃত্তে ঘুরপাক খেতে থাকা ইমরান ফেরেন ৪ করে। দু’জনেই শিকার হন তাইজুল ইসলামের।
তবে একপ্রান্ত আগলে রেখে রানের গতি ধরে রাখেন আভিস্কা। চতুর্থ উইকেট জুটিতে তাকে যোগ্য সমর্থন দেন শাহাদাত দিপু। তাদের যুগলবন্দী থেকে আসে ৫৬ বলে ৭০ রান। দিপু আউট হন ২৯ বলে ৩১ রানে। এরপর নাজিবুল্লাহ জাদরানের সাথে মিলে গড়েন ৪১ বলে ৬৮ রানের জোট।
নাজিবুল্লাহ ১৯ বলে ১৮ করে ফিরলে থামে এই বন্ধন। তবে এর মাঝে ৪০ বলে অর্ধশতক পূরণ করেন আভিস্কা। এরপরই বের হন খোলস ভেঙে, পরের ১০ বলে করেন ৪১ রান! ঝড় ওঠে অপরপ্রান্ত থেকেও। কার্টিস ক্যাম্ফার অপরাজিত ছিলেন ৯ বলে ২৯ রানে।