বছর ঘুরে আবার এল মাহে রমজান। পবিত্র রমজানের মাস। করোনা মহামারীর মধ্যেই আগামী ২৩ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় যুক্তরাষ্ট্রে পবিত্র রমজান মাসের প্রথম রাত। এই রাতেই প্রথম তারাবির নামাজের পর ভোররাতে সেহরি গ্রহন করে শুক্রবার রমজানের প্রথম রোজা অনুষ্ঠিত হবে। মহান আল্লাহ তায়ালা বলেছেন: ‘শাহরু রমাদ্বা-নাল্লাযী উনযিলা ফি-হিল কুরআন’। অর্থাৎ, ‘রমজান ওই মাস, যে মাসে আমি পবিত্র কুরআন নাযিল করেছি’। আল্লাহ তায়ালার এ বাণী দ্বারা বুঝা যায়, রমজান কেন অন্য মাসের চেয়ে মহিমান্বিত, শ্রেষ্ঠ ও গুরুত্বপূর্ণ। সমস্ত আসমানীগ্রন্থের শ্রেষ্ঠগ্রন্থ ‘আল কুরআন’ যে পবিত্র মাসে নাযিল হয়েছে, নিঃসন্দেহে সে মাস অন্যমাসের চেয়ে শ্রেষ্ঠ, তাৎপর্যপূর্ণ ও বরকতময়।
বড়পীর হযরত আবদুল কাদের জিলানী (রহ.) ‘গুণীয়াতুত ত্বালেবীন’ নামক গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন: ‘রমজ্বী’ শব্দের অর্থ বর্ষার বৃষ্টি। বৃষ্টি যেরূপ যাবতীয় ময়লা-আবর্জনা ধুয়ে-মুছে পরিষ্কার করে দেয়, তদ্রুপ রমজান মাসও বান্দার যাবতীয় পাপ মুছে দিয়ে পবিত্র করে দেয়। যার দরুন এ মাসের নাম রাখা হয়েছে ‘রমজান’।
রহমত, মাগফিরাত, নাযাত, রোযা, সাহরী, ইফতার, তারাবীহ, লাইলাতুল কদর সহ আরো বহু অনন্য বরকতময় বৈশিষ্টমণ্ডিত এ পবিত্র মাস সন্দেহাতীতভাবে অন্য সকল মাসের চেয়ে শ্রেষ্ঠ। বৈচিত্রের এত রকমফের, ইবাদাতের এত মোহনা, সংযমের এমন দৃষ্টান্ত সচরাচর অন্যান্য মাসে দেখা যায় না।
তাই বলা চলে রমজান ইবাদতের বসন্ত, অতএব আমাদের উচিৎ হবে এ পবিত্র মাসে মহান আল্লাহ ও তাঁর প্রিয় রাসুল (দ.) এর সন্তুষ্টি আদায়ের লক্ষ্যে বেশি বেশি ইবাদাত-রিয়াজত করা। অনাহারিদের মুখে খাবার তুলে দেয়া, বস্ত্রহীনের শরীর আবৃত করা, সর্বোপরি অভাবী-দুঃখী লোকেদের সাহায্যে এগিয়ে আসা। আল্লাহ পাক আমাদের সে তাওফিক দান করুন, আমিন!