হারের বৃত্ত থেকে বের হতে পারছে না ঢাকা। টানা পরাজয়ের লজ্জার রেকর্ডটা টেনে নিয়েই যাচ্ছে রাজধানীর দলটা। সেই যে আসরের প্রথমদিন জয় পেয়েছিল, এরপর টানা নয় ম্যাচে হারলো তারা। আজ হেরেছে ফরচুন বরিশালের কাছে। সেই সাথে প্লে অফ থেকেও ছিটকে গেল তারা।
বুধবার দিনের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হয় দুর্দান্ত ঢাকা ও ফরচুন বরিশাল। চট্টগ্রামের জহির আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে ৬ উইকেটে ১৮৬ রান করে বরিশাল। জবাবে এলেক্স রক্স ৮৯ রানের ইনিংস খেললেও ৮ উইকেটে মাত্র ১৫৯ রান পর্যন্ত পৌঁছায় ঢাকা। বরিশালের জয় ২৭ রানে।
এই জয়ে পয়েন্ট টেবিলের তিনে উঠে এল বরিশাল। চট্টগ্রামকে পেছনে ফেলেছে তারা। ৯ ম্যাচে সমান ১০ পয়েন্ট হলেও রেটিংয়ে এগিয়ে আছে বরিশাল। বিপরীতে ১০ ম্যাচে ৯ হারে সবার আগে বিদায়ঘণ্টা বেজে গেছে ঢাকার।
এদিন ঢাকার ইনিংসের পুরোটা জুড়েই ছিলেন রক্স। বাকিদের ব্যাটিং ছিল দৃষ্টিকটু। রক্স ছাড়া আর কেউ পারেননি ১২ রানের বেশি করতে৷ দারুণ বল করেছেন সাইফুদ্দিন ও খালেদ আহমেদ। দুজনেই নেন ৩টি করে উইকেট।
আগের ম্যাচগুলোয় দারুণ ব্যাট করা নাইম শেখ ও সাইফ হাসানও ছিলেন ব্যর্থ। নাইম ৪ বলে ১০ ও সাইফ করেন ২ রান। নতুন আসা রসিংটন আউট হন ২ বলে ৪ রানে। দীর্ঘদিন পর একাদশে ফেরা মোসাদ্দেক ১০ বল খেলে ৮ রানের বেশি করতে পারেননি। তাসকিন করেন ১০ রান। আরেক বিদেশী শন উইলিয়ামসের ব্যাটে আসে ১২ রান।
এর আগে চট্টগ্রামে আগে ব্যাট করতে নেমে দারুণ সূচনা পায় ফরচুন বরিশাল। অধিনায়ক তামিম ইকবাল সম্মুখ থেকেই নেতৃত্ব দেন দলকে। উদ্বোধনী জুটিতে ৮.২ ওভারে আসে ৭৬ রান। ১৩.২ ওভারের মাঝে আর কোনো উইকেট না হারিয়ে স্কোরবোর্ডে যোগ হয় ১২৪ রান।
শেহজাদ পারেননি তামিমকে সঙ্গ দিতে৷ ফেরেন ২২ বলে ২৪ করে আলাউদ্দিন বাবুর বলে৷ তামিমও ফেরেন বাবুর বলেই, তবে ততক্ষণে তুলে নেন ফিফটি৷ ১৩.৩ ওভারে তামিম যখন আউট হন, তার নামের পাশে তখন ৪৫ বলে ৭১ রান।
তামিম আউট হলে থমকে যায় রানের গতি। ১০ বলে ১৩ করে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ সেই বাবুর শিকার হন। ২৩ বলে ২৮ রানে আউট হন সৌম্য সরকার। মুশফিক ও মিরাজকে একই ওভারে ফেরান তাসকিন। মুশফিক ১ রান করলেও মিরাজ ফেরেন ০ রানে। শোয়েব মালিক শেষ পর্যন্ত খেললেও ১০ রানের বেশি করতে পারেননি।।
তবে বরিশালের সংগ্রহ ১৮৬ রান পর্যন্ত পৌঁছান সাইফুদ্দীন। শেষ ওভারে শরিফুলের শেষ ৫ বল থেকে জোড়া চার-ছক্কায় ২২ রান তুলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ৬ বলে ২৩ রানে! স্ট্রাইকরেট ছিল তার ৩৮৩.৩!