ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল থানার ওসি সাহাদাত হোসেন টিটোকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। করোনা পরিস্থিতিতে আল্লামা যুবায়ের আহমেদ আনসারীর জানাজায় সরাইল উপজেলার বেড়তলা নামক এলাকায় হাজার হাজার মানুষের ঢল ঠেকাতে ব্যর্থতার দায়ে ওসিকে প্রত্যাহারের এ আদেশ দেয়া হয়েছে। শনিবার দিবাগত রাতে পুলিশ সদর দফতরের নির্দেশে তাকে প্রত্যাহারের আদেশ দেয়া হয়েছে বলে জেলা পুলিশের বিশেষ শাখা সূত্রে জানা গেছে।
উল্লেখ্য শুক্রবার বাদ আছর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের মার্কাজ পাড়ার নিজ বাসভবনে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশের সিনিয়র নায়েবে আমির, বিশ্ব নন্দিত মোফাচ্ছেরে কোরআন, জামেয়া রাহমানিয়া বেড়তলা সরাইল মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা প্রিন্সিপাল ও শায়খুল হাদিছ আল্লামা হাফেজ যুবায়ের আহমেদ আনসারী ইন্তেকাল করেন। পর দিন শনিবার সকাল ১০টায় নিজের প্রতিষ্ঠিত মাদ্রাসা মাঠে জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে মাদ্রাসা প্রাঙ্গনে আল্লামা যুবায়ের আহমেদ আনসারীকে দাফন করা হয়। জানাজায় ইমামমতি করেছেন আল্লামা যুবায়ের আহমেদ আনসারীর দ্বিতীয় পুত্র হাফেজ মাওলানা আসাদ উল্লাহ।
জনপ্রিয়তা ও ভালোবাসার টানে হাজার হাজার আলেম ও তৌহিদি জনতা করোনা পরিস্থিতির ভয়কে উপেক্ষা করে স্বতঃস্ফূর্তভাবে জানাজায় অংশগ্রহণ করেন। জনতার উপচে পড়া ভিড়ে জানাজার মাঠ কানায় কানায় পূর্ণ হয়েও মাঠসংলগ্ন ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ১ কিলোমিটার পর্যন্ত মহাসড়কে মুসুল্লিরা কাতারবন্দী হয়ে জানাযার নামাজে অংশগ্রহণ করেন।
কিন্তু এত বিশাল জনস্রোত ঠেকানো পুলিশের পক্ষে সম্ভব না হয়নি। এই প্রেক্ষাপটে সরাইল থানার ওসি সাহাদাত হোসেন টিটোকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ওসি প্রত্যাহারের খবরে অনেকেই মর্মাহত হয়েছেন। এ ব্যাপারে ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে ওসির এই প্রত্যাহার আদেশ বাতিলের দাবিও জানিয়ছেন অনেকে।