সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:১৬ অপরাহ্ন

মাদরাসার এতিম ছাত্রদের নিয়ে জয়া আহসানের পোস্ট, ফেসবুকে হইচই

বিডি ডেইলি অনলাইন ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ২০ মার্চ, ২০২৪
  • ৪৭ বার

দুই বাংলায় যার সমান জনপ্রিয় জয়া আহসান। দেশের পাশাপাশি দীর্ঘ সময় ধরে সরব ভারতীয় সিনেমাতেও। হঠাৎ করেই আবার আলোচনায় এই অভিনেত্রী। তবে সিনেমা দিয়ে নয়; এবার জয়া আহসান আলোচনায় এসেছেন ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে। ২২৮ শব্দের ওই পোস্টটি রীতিমতো হইচই ফেলে দিয়েছে।

মঙ্গলবার সকাল ৯টা ১১ টা মিনিটে করা পোস্টে বিকালে ৫টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত (সাড়ে ৮ ঘণ্টা) ৮৪ হাজার রিয়্যাক্ট পড়েছে। এছাড়া পোস্টটিতে কমেন্ট করেছেন ৪ হাজারেরও বেশি মানুষ। আর শেয়ার করেছেন ৩ হাজার ২০০ জন।

তবে যে পোস্ট নিয়ে এতো আলোচনা সেই পোস্টটি জয়া আহসানের নিজের লেখা নয়। লেখার শেষে দুটি লাইন জয়া আহসান যোগ করেছেন। প্রথম লাইনটি হলো- ‘আমি ইনশাআল্লাহ চেষ্টা করব যদি আল্লাহ্ সহায়ক হয়’। আর পোস্টের একেবারে নিচে তিনি লিখেছেন ‘কালেক্টেড’। তাহলে জয়া আহসানের দেয়া এই পোস্টটি আসলে কার লেখা? যেটি সকলের হৃদয় নাড়িয়ে দিয়েছে!

জয়া আহসান পোস্ট করার পর এটি বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের শিরোনাম হয়। পোস্ট করার দুই ঘণ্টার মাথায় সকাল ১১টা ৩ মিনিটে ফখরুল ইসলাম নামের এক ফেসবুক ব্যবহারকারী পোস্টটি নিজের বলে দাবি করেন। তিনি তার ওয়ালে শেয়ার করে লেখেন, ‘শেষ পর্যন্ত তিন পুরুষের ক্রাশ আমার পোস্ট কপি করল’ ।

এরপর প্রকাশিত একটি সংবাদ তিনি নিজের পেজের ওয়ালে শেয়ার দিয়ে লিখেছেন- ‘লেখা আমার, ভাইরাল হয় জয়া আন্টি’। আরেকটি সংবাদ শেয়ার দিয়ে লিখেছেন- ‘লেখাটা আসলে আমার ছিল না। গত বছর জয়া আহসান আমার আইডিতে ঢুকে পোস্ট করছিল।’

এছাড়া ফখরুল ইসলাম আরেকটি সংবাদ মাধ্যমের ফেসবুক পেজে কমেন্ট করে লেখাটা তার নিজের বলে দাবি করেছেন। তার এই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ফেসবুকে খুঁজে দেখা হয়, পোস্টটি প্রথম কবে করা হয়েছে। তাতে দেখা গেছে, ফখরুল ইসলাম ২০২৩ সালে ২১ মার্চ ভোর ৫টায় এই পোস্টটি করেন। তিনি পোস্ট করার পর অনেকেই এটি কপি করে ফখরুল ইসলামের ক্যাডিট দিয়ে পোস্ট করেন।

গত বছরের ওই পোস্ট গত দুই দিন আগে নিজের পেজে শেয়ার দেন ফখরুল ইসলাম। লেখেন- ‘ঈদের ১ মাসও বাকি নেই। এবার কে কী করবেন আগে থেকেই প্ল্যান করে ফেলেন। এখন থেকেই আপনার এলাকায় খোঁজ নিন।’ এরই দুই দিনের মাথায় জয়া আহসান এই পোস্ট দিয়ে লিখেছেন, ‘আমি ইনশাআল্লাহ চেষ্টা করব যদি আল্লাহ্ সহায়ক হয়।’

ফখরুল ইসলামের সেই পোস্টটি নিচে তুলে ধরা হলো-

রোজার শেষ দিকে বাংলাদেশের কওমি মাদরাসাগুলোতে এক করুণ দৃশ্য দেখা যায়। সাধারণত ২৫ রোজা থেকে মাদরাসাগুলো ছুটি হতে থাকে। বেশিরভাগ ছাত্র ছাত্রীর অভিভাবক এসে বাচ্চাদেরকে বাসায় নিয়ে যায়। কিন্তু একদল বাচ্চাকে নিতে কেউ আসে না। এদের কারো বাবা-মা নেই, কারো বাবা নেই মায়ের অন্যত্র বিয়ে হয়ে গেছে। অনেকের মা নেই, বাবা বাচ্চার খোঁজ রাখে না। খুব বেশি ভাগ্যবান হলে কারো কারো মামা খালা চাচা এসে কাউকে কাউকে নিয়ে যায়। বাকিরা সারাদিন কান্না করে। তারা জানে তাদেরকে কেউ নিতে আসবে না। তারা সারা বছর কাঁদে না। কিন্তু যখন সহপাঠীদেরকে সবাই বাসায় নিয়ে যায় অথচ তাদেরকে কেউ নিতে আসে না তখন তাদের দুঃখ শুরু হয়ে যায়। মৃত মা বাবার উপর তাদের অভিমান সৃষ্টি হয়- কেন তারা তাদেরকে দুনিয়ায় রেখে এই বয়সে মারা গেল? তারা কি আর কিছুটা দিন বেঁচে থাকতে পারত না? মা বাবা বেঁচে নাই তো কী হইছে? মামা চাচারা কেউ তাদেরকে নিতে আসল না কেন? মা বেচে থাকতে মামারা কত আদর করত! বাবা বেঁচে থাকতে চাচারা কত আদর করত! এই বয়সেই তারা দুনিয়ার একটা নিষ্ঠুর চেহারা দেখেছে।

একটা অনুরোধ- এই ঈদে আপনার কাছাকাছি এতিমখানায় যান। কয়জন বাচ্চা ঈদে বাড়ি যায়নি খোঁজ নিন। তাদের জন্য আপনার সামর্থ্য অনুযায়ী যা পারেন তা নিয়ে যান। এই গরমে তাদের আইসক্রিম খাওয়াতে পারেন। নিদেন পক্ষে একটা চকলেট খাওয়ান। মনে রাখবেন, আজ আপনি বেঁচে না থাকলে আপনার ছোট সন্তান এতিম হয়ে যাবে!

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019 bangladeshdailyonline.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com