নড়াইলের কালিয়া উপজেলার জোকা-ধুসাহাটি গ্রামে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে কমপক্ষে আটজন আহত হয়েছেন। বুধবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষ ঠেকাতে গিয়ে কালিয়া থানার কনস্টেবল আতিকুর রহমান (৩২) বাম হাতে টেটাবিদ্ধ হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ১৭ রাউন্ড শটগানের ফাঁকা গুলিবর্ষণ করে। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের আটজনকে আটক করেছে পুলিশ।
তবে আজ বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত কোনো পক্ষই মামলা দায়ের করেনি।
এ ব্যাপারে সহকারী পুলিশ সুপার (কালিয়া অঞ্চল) রিপন চন্দ্র সরকার জানান, পুলিশ সদস্য আহত হওয়ার ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। এছাড়া বিবাদমান দুই পক্ষের কেউ এখনো পর্যন্ত মামলা করেনি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
এলাকাবাসী জানান, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নড়াইলের কালিয়া উপজেলার সালামাবাদ ইউনিয়নের (ইউপি) জোকা-ধুসাহাটি গ্রামের এম এম পাভেল গ্রুপের সাথে ইউপি মেম্বার রিংকু শেখ গ্রুপের দ্বন্দ্ব চলে আসছে। এর জের ধরে বুধবার দুপুর ১২টার দিকে উভয়পক্ষ ঢাল, সড়কি, টেটাসহ ধারালো অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় সালামাবাদ ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পাভেল গ্রুপের মোহাম্মদ আলীকে (৪৫) কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে প্রতিপক্ষরা। এছাড়া একই গ্রুপের এনায়েত শরীফ (৫৫) ও কুদ্দুস শরীফ (৬০) আহত হন। এর মধ্যে গুরুতর আহত আলীকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যরা কালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন।
এছাড়া দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় কয়েকটি বাড়ি ভাঙচুর এবং কলাসহ অন্যান্য গাছ কেটে ফেলার ঘটনা ঘটেছে।
এ সংঘর্ষের জন্য প্রতিপক্ষের লোকজন একে অপরকে দায়ী করেছে।