হাতাহাতি আর মারামারির মধ্য দিয়ে শেষ হলো বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সদস্যদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান। আজ বিকেলে শপথগ্রহণ শেষে নির্বাচিত সদস্যদের ইন্ধনে উপস্থিত সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় অর্ধশতাধিক সাংবাদিক আহত হয়েছেন। যাঁদের মধ্যে ১০-১২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।সাংবাদিকরা ক্যামেরা, মোবাইলসহ প্রয়োজনী যন্ত্রাংশ খুইয়েছেন। আজ বিকেলে এফডিসিতে সংগঠনটির নবনির্বাচিত কমিটির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে পরপরই এমন অপ্রত্যাশিত ও ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটে।জানা গেছে, শপথগ্রহণ শেষে সমিতির অফিসে খবরের কাগজ পত্রিকার সাংবাদিক মিথুন আল মামুন সাক্ষাৎকার নিচ্ছিলেন ময়ূরীর মেয়ের। এ সময় অভিনেতা শিবা শানু ওই সাংবাদিককে বেরিয়ে যেতে বলেন।তিনি না যেতে চাইলে তাঁকে ধাক্কাতে ধাক্কাতে অফিস থেকে বের করে দেন শানু। এর মধ্যে সেটি থামাতে এগিয়ে আসেন উপস্থিত অন্য সাংবাদিকরা। এ সময় সমিতির আরেক নেতা জয় চৌধুরী ‘মার মার’ বলে তেড়ে যান সাংবাদিকদের দিকে। শুরু হয় সাংবাদিক ও শিল্পীদের মধ্যে তুমুল মারামারি।এর পরই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। পুরো এফডিসি পরিণত হয় রণক্ষেত্রে। মারামারিতে রীতিমতো রক্তাক্ত হন কয়েকজন সংবাদকর্মী।বিষয়টি নিয়ে এখনো পর্যন্ত শিল্পী সমিতির পক্ষ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। কালের কণ্ঠ’র পক্ষ থেকে সংগঠনের সদ্য সভাপতি মিশা সওদাগরের মোবাইলে বেশ কয়েকবার কল দেওয়া হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।উল্লেখ্য, এর আগে বিকেল ৫টার দিকে অনুষ্ঠিত হয় সমিতির শপথগ্রহণ। শুরুতে নবনির্বাচিত সভাপতি মিশা সওদাগরকে শপথবাক্য পাঠ করান চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি কাজী হায়াৎ। এরপর অন্যদের শপথবাক্য পাঠ করিয়েছেন মিশা। এ সময় নির্বাচিত সদস্যরা ছাড়াও সিনেমা অঙ্গনের আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গত ১৯ এপ্রিল অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সভাপতি পদে মিশা সওদাগর সাধারণ সম্পাদক পদে মনোয়ার হোসেন ডিপজল নির্বাচিত হন। তাঁরা পর্দায় বিগত কয়েক দশক ধরে খলনায়কের অভিনয় করছেন।