চলতি মাসে টানা সপ্তম দফায় কমানো হলো স্বর্ণের দাম। প্রতি ভরি ৪২০ টাকা কমিয়ে ভালো মানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ১১ হাজার ৪১ টাকা।
আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির (বাজুস) স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটির বৈঠকে নতুন করে দাম কমানোর সিদ্ধান্ত হয়। পরবর্তীকালে কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের স্বাক্ষর করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবী স্বর্ণের দাম কমেছে। তাই সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বাজুস স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করেছে। আজ বিকেল ৪টা থেকে কার্যকর হবে নতুন দাম।
নতুন দাম অনুযায়ী, ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ১১ হাজার ৪১ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ৩৯৭ টাকা কমিয়ে ১ লাখ ৬ হাজার ২ টাকা করা হয়েছে। এ ছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ৩৩৮ টাকা কমিয়ে ৯০ হাজার ৮৬৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি স্বর্ণের দাম ২৮০ টাকা কমিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ৭৫ হাজার ৫৫৯ টাকা।
তবে স্বর্ণের গয়না কিনতে ক্রেতাদের এর থেকে বেশি অর্থ গুনতে হবে। কারণ বাজুস নির্ধারণ করা দামের ওপর ৫ শতাংশ ভ্যাট যোগ করে স্বর্ণের গয়না বিক্রি করা হয়। সেই সঙ্গে ভরিপ্রতি মজুরি ধরা হয় নূন্যতম ৩ হাজার ৪৯৯ টাকা। ফলে এখন থেকে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের গয়না কিনতে ক্রেতাদের ১ লাখ ২০ হাজার ৯২ টাকা গুনতে হবে।
এর আগে গতকাল সোমবার স্বর্ণের ভরিতে কমানো হয় ১ হাজার ১৫৫ টাকা, ২৮ এপ্রিল ৩১৫ টাকা, ২৭ এপ্রিল ৬৩০ টাকা, ২৫ এপ্রিল ৬৩০ টাকা, ২৪ এপ্রিল ২ হাজার ৯৯ টাকা এবং ২৩ এপ্রিল ৩ হাজার ১৩৮ টাকা। সব মিলে টানা সপ্তম দফায় মোট ৮ হাজার ৩৮৭ টাকা কমনো হয়।
স্বর্ণের দাম কমানো হলেও অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ২ হাজার ১০০ টাকা, ২১ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ২ হাজার ৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ১ হাজার ৭১৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি রুপার দাম ১ হাজার ২৮৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।