খাগড়াছড়ির রামগড়ে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে ফেনী নদী দিয়ে আবারো এক মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তিকে অবৈধভাবে পুশ-ইনের চেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়েছে স্থানীয় এলাকাবাসী ও রামগড় ৪৩ বিজিবির সদস্যরা।
স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টায় রামগড় সীমান্তের থানা ঘাট এলাকার ফেনী নদী দিয়ে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের সাব্রুম থেকে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ মানসিক ভারসাম্যহীন এক পুরুষকে বাংলাদেশে পুশ-ইনের চেষ্টা করে। রামগড়ের স্থানীয়রা বিষয়টি দেখে স্থানীয় ক্যাম্পে খবর দিলে ৪৩ বিজিবির জোয়ানরা নদীর পাড়ে অবস্থান নিয়ে পুশ-ইন চেষ্টা ব্যর্থ করে দেয়। এতে বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি এবং দুই দেশের সীমান্তে সৈন্য বৃদ্ধি করা হয়।
বিজিবি’র প্রতিরোধের মুখে মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তিকে বিএসএফ ফেরত নিলেও দুই দেশের সীমান্তে উত্তেজনা এড়াতে জরুরিভিত্তিতে বিজিবি-বিএসএফের সেক্টর কমান্ডার পর্যায়ে রাত সাড়ে ৮টায় মহামুনি বিওপি আওতাধীন ভারত ও বাংলাদেশের মৈত্রী সেতুর নিচে শূন্য লাইন সীমান্ত পিলার ২২১৫/৯ এস এর নিকট বৈঠক শুরু হয়। শেষ হয় রাত সোয়া ৯টায়। বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে ১০ সদস্যের দলের নেতৃত্ব দেন বিজিবির সেক্টর কমান্ডার কর্নেল জি এইচ এম সেলিম হাসান পিএসসিজি এবং ভারতের পক্ষে ১০ সদস্যের দলের নেতৃত্ব দেন বিএসএফ উদয়পুর সেক্টরের ডিআইজি জামিল আহমেদ।
বৈঠক শেষে বিজিবি প্রতিনিধিদল সাংবাদিকদের জানান, বৈঠকে অজ্ঞাত ভারসাম্যহীন ব্যক্তিকে বিএসএফ গ্রহণ করে নেয়। পরবর্তীতে ভারত ওই ব্যক্তিটিকে বাংলাদেশী প্রমাণ করতে পারলে বিজিবি তাকে গ্রহণ করে নিবে এবং উভয় দেশের সীমান্তে মোতায়েনকৃত বিএসএফ-বিজিবি সদস্যদের প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত হয়।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ২ এপ্রিল সীমান্তের একই এলাকা দিয়ে মানসিক এক ভারসাম্যহীন নারীকে অবৈধভাবে পুশ-ইন করে শূন্য রেখায় রেখে ২০ দিন মানবেতর জীবনযাপন করতে বাধ্য করে বিএসএফ।