অ্যানালস অব ইন্টারনাল মেডিসিন জার্নালে প্রকাশিত এ গবেষণায় বলা হয়, এক কাপ অতিরিক্ত কফি মানুষের আয়ু বাড়াতে পারে। হৃদরোগ এবং পাকস্থলীর রোগে মৃত্যুঝুঁকি কমে। সকালে খালি পেটে কফি পান করলে পাকস্থলীতে হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড তৈরি হয়। কফিতে বিদ্যমান সবচাইতে সক্রিয় উপাদানটি হচ্ছে ক্যাফেইন। এটি আমাদের মানসিক উত্তেজনা বাড়িয়ে দেয় অনেকাংশে। ইদানীং মাথাব্যথা হলে ওষুধের আগে অনেকেরই কফির কথাই মাথায় আসে।মাথাব্যথা হলে মূলত আমাদের শিরা প্রসারিত হয়, এতে করে রক্ত চলাচলও বেড়ে যায় অনেক।
কফি পানে সেই শিরা সংকুচিত হয়ে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে এবং আমাদের মাথাব্যথা অনেকাংশেই কমে যায়। মাথাব্যথা থেকে শুরু করে যেকোনো ক্লান্তি অবসাদ দূর করতে কফির তুলনা নেই। যারা রাত জেগে কাজ করেন, কফি তাদের কাছে আশীর্বাদ।ডয়েচে ভেলেতে প্রকাশিত এক রিপোর্টে দেখা গেছে, যারা নিয়মিত কফি পান করেন, অন্যান্যদের তুলনায় তাদের ডায়াবেটিস হওয়ার আশঙ্কা থাকে কম।
আবার সাম্প্রতিক এক গবেষণায় জানা গেছে, কফি শুষ্ক চোখের সমস্যা দূর করতেও বেশ কার্যকরী ভূমিকা রাখে। যারা নিয়মিত কফি পান করেন, তাদের হৃদরোগে ভুগতে হয় কম।চুল পড়ার সমস্যার সমাধান থেকে শুরু করে ক্যানসারের মতো রোগ প্রতিরোধেও সাহায্য করে এই কফি।স্মৃতিশক্তি বাড়াতে ও তারুণ্য ধরে রাখতেও সহায়তা করে কফি।
কফিতে বিদ্যমান এন্টি-অক্সিডেন্ট পৃথিবীর অন্য কোনো কিছুতেই ততটুকু নেই, যতটুকু এই কফি থেকে পাওয়া যায়।যদিও কফির কিছু অপকারিতাও রয়েছে। তবে কফির অপকারী দিকের চাইতে উপকারিতাই বেশি। শরীর ও মন চনমনে ও চাঙ্গা রাখতে প্রতিদিন দুই কাপ কফিই যথেষ্ট।অফিসের কাজে মনোযোগ বাড়াতে কিংবা কোনো এক পড়ন্ত বিকেলে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডায় নিজেকে জমিয়ে রাখতে কফিই হতে পারে আপনার একমাত্র সঙ্গী।