বড় জয়ে বিশ্বকাপ শুরু যুক্তরাষ্ট্রের। উদ্বোধনী ম্যাচে কানাডাকে পাত্তাই দেয়নি স্বাগতিকেরা। ১৯৫ রানের বিশাল লক্ষ্য পেরিয়ে গেছে ৭ উইকেট আর ১৪ বল হাতে রেখেই। এমন জয়ে বড় দলগুলোকে যেন দিয়েছে বিশেষ বার্তা।
রোববার (বাংলাদেশ সময়) ভোরে পর্দা উঠে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসরের। প্রথম ম্যাচেই মাঠে নামে স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্র। কানাডার মুখোমুখি হয় তারা। গ্রান্ড প্রেইরি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে গড়ায় খেলা।
ফেভারিট হিসেবেই এদিন মাঠে নামে যুক্তরাষ্ট্র। যেখানে টসে জিতে কানাডাকে আগে ব্যাটিংয়ে পাঠান মোনাক প্যাটেল। যেখানে জোড়া ফিফটিতে ৫ উইকেটে ১৯৪ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় তারা।
ব্যাট হাতে দারুণ শুরু পায় দলটি। দুই ওপেনার অ্যারন জনসন ও নাভনিত ধালিয়াল মিলে পাওয়ার প্লেতেই দলকে এনে দেন ৫০ রান। তবে যুক্তরাষ্ট্র উইকেটের দেখা পায় পাওয়ার প্লের শেষ ওভারেই। হারমিত সিংয়ের বলে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন জনসন।
জনসনের হাত ধরেই আসে ২০২৪ বিশ্বকাপের প্রথম রান। বাউন্ডারি হাঁকিয়েই আসরের উদ্বোধন ঘোষণা করেন যেন তিনি। তবে ১৬ বলে ২৩ রানেই থামতে হয় তাকে। দ্রুত ফেরেন প্রাগাত সিংও। ৭ বলে ৫ রান করে রান আউটের শিকার হন তিনি।
দুই উইকেট হারানোর পর ধালিয়ালের সাথে অসাধারণ এক জুটি গড়েন নিকোলাস কিরটোন। ৩৭ বলে দুজনে তোলেন ৬২ রান। ১৫তম ওভারে এই জুটি ভাঙেন কোরি অ্যান্ডারসন। নিজের প্রথম বলে ৪৪ বলে ৬১ রান করা ধালিয়ালকে বিদায় করেন তিনি।
তারপরই রানের গতি কমে যায় কানাডার। দলীয় ১৫৯ রানে ফিরে যান কিরটোনও। ৩১ বলে ৫১ রান করে আলী খানের বলে অ্যান্ডারসনের হাতে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন তিনি।
শেষদিকে শ্রেয়াস মোভভার ১৬ বলে অপরাজিত ৩২ এবং দিলপ্রিত বাজওয়ার পাঁচ বলে ১১ রানের ইনিংসে লড়াই করার মতো সংগ্রহ তোলে কানাডা। যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে একটি করে উইকেট নেন আলি, হারমিত এবং অ্যান্ডারসন।
জিততে হলে যুক্তরাষ্ট্রের রেকর্ড গড়তে হতো। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড ছিল ১৬৯। ফলে অবিশ্বাস্য কিছুই করতে হতো। ফলে টপঅর্ডারদের থেকে প্রত্যাশা বেশিই ছিল।
কিন্তু শুরুটা ভালো করতে পারেনি যুক্তরাষ্ট্র। প্রথম ৮ ওভারে মাত্র ৪৮ রান তুলতেই হারায় ২ উইকেট। এরপর হয়তো জয়ের আশায় বুক বাঁধতে শুরু করেছিল কানাডা। কিন্তু এরপরই ঘুরে দাঁড়ায় স্বাগতিকেরা। পরের উইকেট পেতে কানাডাকে অপেক্ষা করতে হয় ১৫.৪ ওভার পর্যন্ত। ততক্ষণে স্কোরবোর্ডে রান উঠেছে ১৭৩।
এমন প্রত্যাবর্তনের নায়ক অ্যারন জোন্স। চার নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ২২ বলে ফিফটি করেন তিনি। যা বদলে পুরো ম্যাচের চেহারা। শেষ পর্যন্ত ১০ ছক্কায় ৪০ বলে অপরাজিত ৯৪ রানের ইনিংস খেলেন জোন্স। আন্দ্রিস গুসের সাথে গড়েন ৫৮ বলে ১৩১ রানের জুটি।
গুসের ব্যাটেও আসে বড় রান। ইনিংসের প্রথম ২৫ বলে ২৫ রান করা গুস ফিফটি করেন ৩৯ বলে। তবে অপরাজিত থাকা হয়নি তার, ৪৬ বলে ৬৫ রান করে আউট হন গুস। পাঁচে নামা কোরি আন্ডারসন অপরাজিত থাকেন ৫ বলে ৩ রানে।