শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৫৯ অপরাহ্ন

নিউইয়র্কের স্কুলে স্মার্টফোন নিষিদ্ধ হচ্ছে!

বাংলাদেশ ডেইলি অনলাইন:
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ২ জুন, ২০২৪
  • ৬১ বার

গভর্নর ক্যাথি হোকুল নিউইয়র্কের স্কুলগুলোতে শিশুদের স্মার্টফোন ব্যবহার নিষিদ্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি মনে করেন, এই প্রযুক্তি শিশুদের জন্য ক্ষতিকর।

গভর্নর গার্ডিয়ানকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে স্মার্টফোনের বদলে শিশুদেরকে সাধারণ ‘ডাম্প’ ফোন দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। এসব ফোন দিয়ে টেক্সট পাঠানো যাবে, তবে ইন্টারনেট ব্যবহারের কোনো সুযোগ এতে থাকবে না।
উল্লেখ্য, হোকুল নিজেকে স্বঘোষিত ‘প্রথম মম গভর্নর’ হিসেবে দাবি করেন। তিনি মনে করেন, কোম্পানিগুলো মুনাফার জন্য শিশুরে টার্গেট করে সামাজিক মিডিয়া অ্যালগোরিদম তৈরী করছে। আর তা শিশুদের ‘আসক্ত’ করে তুলছে। এ কারণেই তিনি স্মার্টফোন নিষিদ্ধ করার আন্দোলন শুরু করেছেন।
তিনি এমএসএনবিসির ‘মর্নিং জো’ অনুষ্ঠানে বলেন, ‘আমাদের বাচ্চাদের খুবই অন্ধকার একটি স্থানে টেনে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘আমি বলি, আমাদের শিশুদের ছেড়ে দিন… আপনাদের আর্থিক মুনাফার জন্য আমাদের বাচ্চাদের ব্যক্তিগত তথ্য বিক্রি করা বন্ধ করুন।’
আগামী বছরের জানুয়ারির শুরুতে রাজ্য আইন পরিষদের অধিবেশনে হোকুল বাচ্চাদের জন্য স্মার্টফোন নিষিদ্ধ করার বিল আনার পরিকল্পনা করছেন। তবে স্মার্টফোন বাদ দিলে শিশুরা কিভাবে তাদের হোমওয়ার্ক করবে সে ব্যাপারে কোনো নির্দেশনা নেই। এখন শিশুরা অনেক হোমওয়ার্ক করার জন্য স্মার্টফোনের ওপর নির্ভরশীল।
তাছাড়া নিরাপত্তার জন্য যেসব শিশু স্মার্টফোন ব্যবহার করে, তাদের ব্যাপারেও কিছু বলা হয়নি। এমনকি অপেক্ষাকৃত বয়স্ক শিশুদের ক্যাম্পাসে স্মার্টফোন আনার সুযোগ দেওয়া হলেও তা ব্যবহার নিষিদ্ধ থাকবে কিনা সে ব্যাপারেও কিছু বলা হয়নি।
এ ব্যাপারে হোকুলের মুখপাত্রের কাছে প্রশ্ন করা হলেও তিনি কোনো জবাব দেননি। তবে অনেক অভিভাবক ইতোমধ্যেই হোকুলকে সমর্থন করেছেন।
অ্যাটসুকো ডেসাদিয়ের নামের এক মা মিডিয়াকে বলেছেন, তিনি তার দুই শিশুর স্মার্টফোন ব্যবহার কমানোর সহায়তাকারী এই বিলের পক্ষে।
তিনি বলেন, ‘আমি ¯œ্যাপচ্যাট ও টিকটক নিষিদ্ধ করার পক্ষে ¯œ্যাপচ্যাট খুবই খারাপ। তিনি বলেন, স্কুলে সেল ফোন নিষিদ্ধ করা উচিত। এতে করে শিক্ষার্থীরা ক্লাসে আরো মনোযোগী হতে পারবে।’
তবে অনেক শিক্ষার্থীই মিডিয়াকে বলেছেন, হোকুলের নিষেধাজ্ঞায় কাজ হবে কিনা সে ব্যাপারে তারা সন্দিহান।
ডারলিন মেনদেজ (১৪) নামের এক ছাত্র বলেন, কিশোররা কোনো না কোনো উপায় বের করে নেবে।
তিনি বলেন, ‘স্মার্টফোনের সুবিধা, অসুবিধা দুটিই আছে। অনেক সময় আমরা অনেক বেশি সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করি। এটা সমস্যা। কিন্তু স্কুলের অনেক কাজের জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ।’
হাইসেল আজসিভিন্যাক (১৭) নামের আরেক ছাত্র জানায়, অনেক সময় স্কুলের কম্পিউটারে ইন্টারনেট কাজ করে না। আমরা তখন স্মার্টফোন দিকে কাজ চালিয়ে নেই। আমাদের অ্যাসাইমেন্ট করতে অনেক সহজ হয়।
এদিকে প্রস্তাবিত ‘দি স্টপ অ্যাডিকটিভ ফিডস এক্সপ্লোইটেশন ফর কিডস’ নামের বিলটি আইনপ্রণেতারা এখন বিবেচনা করছেন। এতে সামাজিক মাধ্যমগুলোর ওপর বেশ কিছু নিয়ন্ত্রণ আরোপের কথা রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019 bangladeshdailyonline.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com