নারায়ণগঞ্জের বন্দরে বহুতল ভবনের সেপটিক ট্যাংক বিস্ফোরণে দুই শিশু ও অন্তঃসত্ত্বা এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরো পাঁচজন।
শুক্রবার সকাল ৬টার দিকে বন্দরের উইলসন রোডের দীঘিরপাড় মোল্লাবাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানায়, বিস্ফোরিত ভবনের নিচতলার বাসিন্দা খোরশেদ আলমের দুই ছেলে মাসনুন (১২) ও জিসান (৮) ঘটনাস্থলেই মারা যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান পাশের বাড়ির হুমায়ূন কবিরের আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী লাবনী আক্তার (৩০)। বিস্ফোরণে পাশের একটি চার তলা বাড়ি ও একটি টিনশেড বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আহত হন আরো পাঁচজন। তারা হলেন- নিহত নারীর মেয়ে নাবিলা, তামান্না, শহীদ, রেকমত শেখ ও রুবেল।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, উইলসন রোডের রফিকুল ইসলামের পাঁচতলা ভবনটির নিচতলায় সকাল ৬টার দিকে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়। সেপটিক ট্যাংক বিস্ফোরণ হওয়া ঘরটিতে ঘুমোচ্ছিল ওই দুই শিশু। বিস্ফোরণে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় দুই ভাইয়ের। গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান অন্তঃসত্ত্বা নারী। আহত অবস্থায় বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন আরো পাঁচজন।
বিধ্বস্ত বাড়িটির মালিক হাসান মিয়া প্রায় তিন মাস আগে সেফটিক টাংকের ঢাকনা বন্ধ করে দেয়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করেন এলাকার অহিদ মিয়া। তিনি বলেন, ওই সময়ে এলাকার কয়েকজন মিলে তাকে ঢাকনা বন্ধ না করার পরামর্শ দিয়েছিলেন। তখন বন্ধ না করলে আজ এ দুর্ঘটনা ঘটতো না। তার ভুলের কারনে পাশে থাকা রতন মিয়ার চার তলা ভবন ও পারুলের টিনশেড বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শুক্লা সরকার ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় তিনটি বাড়িসহ পাশের আরো দুটি বাড়ি সিলগালা করে দেয়ার ঘোষণা দেন।
বন্দর থানার ওসি রফিকুল ইসলামসহ ফোর্স ঘটনাস্থলে এসে লোকজনকে নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে নেন এবং লাশের সুরতহালসহ প্রয়োজনীয় আইনী ব্যবস্থা নেন।
বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, উইলসন রোডের রফিকুল ইসলামের মালিকানাধীন পাঁচতলা বাড়ির নিচতলায় সকালে এ ঘটনা ঘটে। সেপটিক ট্যাংক বিস্ফোরণের ঘটনায় অন্তঃসত্ত্বা এক নারী ও দুই শিশু নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন আরো পাঁচজন।