সামাজিক মিডিয়া কোম্পানিগুলোকে শিশুদের জন্য ‘আসক্তিকর’ ফিড নির্মাণ নিষিদ্ধ করে প্রণীত একটি আইনে সই করেছেন নিউইয়র্কের গভর্নর ক্যাথি হোকুল। তিনি মনে করছেন, স্কুল শিক্ষার্থীদের স্মার্টফোন ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করার নতুন উদ্যোগের প্রথম ধাপ এটি।
‘সেফ ফর কিডস অ্যাক্ট’ নামের আইনটি যুক্তরাষ্ট্রের কোনো রাজ্যে প্রথমবারের মতো পাস হলো। এতে শিশুদের ফোনে ব্যস্ত রাখার আসক্তি সৃষ্টিকারী অ্যালগারিদম ব্যবহার এবং ওই তথ্য থেকে মুনাফা করার ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।
ম্যানহাটানে ইউনাইটেড ফেডারেশন অব টিচার্স ইউনিয়ন সদরদফতরে বিশাল সমাবেশে হোকুল বলেন, ‘বন্ধুরা, আমরা এর মাধ্যমে জীবন রক্ষা করব।’
তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘আমাদের শিশুদের পণ্যে পরিণত করা যাবে না। আমরা আমাদের সন্তান, আমাদের শিশুদেরকে আর টাকা বানানোর মেশিন হতে দেব না। এখানে তা হবে না। ফলে এখানে আমরাই দেশের মধ্যে প্রথম।’
এরপর গভর্নর স্কুলে স্মার্টফোন নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে তার পরবর্তী পরিকল্পনার বিষয়টি বেশ জোরালভাবে উত্থাপন করেন।
তিনি বলেন, ‘পরবর্তী সীমান্ত হবে ফোন।’
গভর্নর, স্থানীয় রাজনীতিবিদ এবং অধিকারকর্মীরা নিউইয়র্কের শিশুদের জন্য ক্ষতিকর প্রযুক্তির বিরুদ্ধে যেসব পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন, এটি হলো এর সর্বশেষ সংযোজন। চলতি মাসের প্রথম দিকে রাজ্য আইনসভায় এটি পাস হয়।
তবে প্রায় নিশ্চিতভাবেই বলা যায়, বড় বড় টেক কোম্পানি এর বিরুদ্ধে মামলা করবে। টেক জায়ান্ট গুগল এই আইনের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য ইতোমধ্যেই ১০ লাখ ডলার বরাদ্দ করেছে। আরেকটি কোম্পানি এই আইনকে ‘অসাংবিধানিক’ হিসেবে অভিহিত করেছে।
নতুন আইনে তিনটি বিষয়ের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে :
১. শিশুদের স্মার্টফোনের সাথে সম্পৃক্ত রাখার জন্য ১৮ বছর বয়সের নিচের কোনো শিশুর জন্য অ্যালগোরিদম ব্যবহার করা যাবে না।
২. বেলা ১২টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের সামাজিক মিডিয়া অ্যাকাউন্টের নোটিফিকেশনগুলো বিরত রাখতে পারবেন।
৩. সামাজিক মিডিয়াগুলো ১৮ বছরের কম বয়স্ক ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা তথ্য বিক্রি করতে পারবে না।