জাতীয় সম্মিলিত ফোরাম ( জেএসএফ ) বাংলাদেশের জন্ম হয়েছে দেশের জনগণের অধিকার , মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা, রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস বন্ধের লক্ষে। রাজনীতিতে জমিদারি প্রথা বিলুপ্ত করে সবার অংশগ্রহণে দেশ ও জাতির উন্নয়নের জন্য এবং অবৈধ সমঝোতা চুক্তি ও ভারতীয় আগ্রাসন রুখে দাঁড়ানোর উদাত্ত আহবান এই স্লোগানে ১৫ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত হয়।
২৩ শে জুন ২০২৪ তারিখে জাতীয় সম্মিলিত ফোরাম ( জেএসএফ ) বাংলাদেশের ১৫ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী নিউইয়র্কে পালিত হয়েছে। অনুষ্টানে বিভিন্ন রাজনৌতিক দল , পেশাজীবীর উপস্থিতিতে বক্তব্য রাখেন দলের পক্ষ থেকে হাজি আনোয়ার হোসেন লিটন , সাংবাদিক হাকিকুল ইসলাম খোকন , জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) যুক্তরাষ্ট্র সভাপতি এ এস এম রহমত উল্লাহ ভূঁইয়া , সাংবাদিক শহীদ রাজু , মোহাম্মদ আশরাফুল হাসান প্রমুখ।
জাতীয় সম্মিলিত ফোরাম ( জেএসএফ ) বাংলাদেশের ১৫ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুস্টানে বক্তারা বলেন , ভারতের প্রত্যক্ষ মদদে বাংলাদেশের জনগণের সকল অধিকার হরণ করে, গণতন্ত্রকে হত্যা করে টানা চতুর্থ বারের মত অবৈধভাবে ক্ষমতা আঁকড়ে থাকা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত সফরে দেশ বিরোধী চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশকে ভারতের কাছে বিক্রি করে দিয়েছেন।
জাতীয় সম্মিলিত ফোরাম ( জেএসএফ ) বাংলাদেশের ১৫ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুস্টানে বক্তারা বলেন , সিনহা থেকে শুরু করে বেসিক ব্যাংকার বাচ্চু , পিকে হালদার ,মখা আলমগীর ,কোটি টাকা ছাড়া স্যার টাকা নেন না খ্যাত ডিবি পুলিশের হারুন , পুলিশের সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) এর সাবেক কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়া, পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি রফিকুল ইসলামসহ পুলিশের সাবেক ও বর্তমান কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতি করে অবৈধভাবে বিপুল সম্পত্তির মালিক হওয়া নিয়ে গণমাধ্যমে সুস্পষ্ট তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। এরা আওয়মীলীগকে অবৈধ সুযোগ সুবিধার বিনিময়ে লুট করে। শুধু দুর্নীতি এবং অবৈধ সম্পদ অর্জন নয়, ক্ষমতার অব্যবহার করে সাবেক পুলিশ প্রধান বেনজীর আহমেদ কর্তৃক একজন সংসদ সদস্যের টেলিভিশন চ্যানেলের শেয়ার দখল, পাহাড়ে জমি দখল, গোপালগঞ্জে সংখ্যালঘুদের জমি দখলের মতো জঘন্য ঘটনা বেরিয়ে এসেছে। এমন প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধ সম্পত্তির মালিক হওয়াসহ নানাবিধ অপকর্মে জড়িত পুলিশ সদস্যদের বিষয়ে সঠিক তদন্ত ও বিচার দাবি না করে বরং রাজনৈতিক রং মাখিয়ে গণমাধ্যমসহ যারা পুলিশ সদস্যদের দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার নিয়ে সোচ্চার তাদের নিয়ে বিষোদগার করে বিবৃতি প্রদান করেছে। যা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হিসেবে পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন করতে পারে না। এটি সংবিধান ও নৈতিকতা পরিপন্থী। এ ধরণের কর্মকান্ড পুলিশের অসৎ কর্মকর্তাদের রক্ষা করার অপপ্রয়াস।
জনসেবায় দেশের তরে পুলিশ সদস্যদের ইতিবাচক ভূমিকা সচেতন নাগরিক হিসেবে অবশ্যই আমরা শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করি। তাই বলে গুটিকয়েক ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তার দুর্নীতি ও অপকর্মের দায় পুরো বাহিনীর ওপর আসতে পারে না। কিন্তু পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের বিবৃতি প্রকারান্তরে অসৎ, দুর্নীতিবাজ পুলিশ সদস্যদের পক্ষে। জবাবদিহিতামূলক গণতান্ত্রিক সরকার না থাকায় দেশের সর্বত্র যে অসৎ, দুর্নীতিবাজ দুষ্ট লোকের আধিপত্য ও সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে, পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের বিবৃতি তারই একটি উদাহরণ।