ডিএনসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতাকাব্বীর আহমেদ বলেছেন, ‘আপনারা দেখেছেন, রামচন্দ্রপুর খালের অংশ দখল করে স্থাপনা করা হয়েছে। সেই স্থাপনা দখল উচ্ছেদ করা হয়েছে। কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নয়, আমাদের অভিযান অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে।’
তিনি বলেন, ‘সাদিক এগ্রোর মালিককে ঈদের আগেও আমিরা নোটিশ দিয়েছি। অবৈধ স্থাপনা থাকলে সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে। আমরা ঈদের আগে উচ্ছেদ অভিযান চালাইনি। কারণ এর ফলে বাজারে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি হতো। আমরা এমনটা চাইনি বলে উচ্ছেদে যাইনি। সেই নোটিশের দখলদাররা কোনো ব্যবস্থা নেননি।’
বৃহস্পতিবার দুপুর অভিযান শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
মোতাকাব্বীর আহমেদ বলেন, রামচন্দ্রপুর খালের দুই ধারে যারা অবৈধ দখলদার ছিল, এই অভিযান তাদের বিরুদ্ধে। খালের জমি পানি উন্নয়ন বোর্ড ও সিটি করপোরেশন থেকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এর আগেও উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র এখান থেকে ট্রাকস্ট্যান্ড সরিয়েছেন, বহুতল ভবন ভেঙেছেন। এটা আমাদের নিয়মিত অভিযানেরই অংশ।’
এদিকে অভিযানকে স্বাগত জানিয়ে সাদিক এগ্রোর স্বত্বাধিকারী আলোচিত ব্যবসায়ী শাহ ইমরান হোসেন দাবি করেন, তিনি শুধু জমিটি ভাড়া নিয়েছেন। মাটি ভরাট করে কোনো স্থাপনা তৈরি করেননি। যার থেকে জমি ভাড়া নিয়েছেন তিনি ভরাট করেছেন।
অভিযান চলাকালে জমির মালিকের পক্ষে একজন উপস্থিত ছিলেন, তবে সাদিক অ্যাগ্রোর পক্ষে কেউ উপস্থিত ছিলেন না।