হট স্পট নারায়ণগঞ্জে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন তার। প্রথমে প্রচণ্ড ভীতি কাজ করলেও শেষ পর্যন্ত করোনা তাদের কাছে হার মেনেছে।
করোনাভাইরাসকে জয় করেছেন খানপুর ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের সুপার ডা. গৌতম রায় এবং জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানিয়া তাবাসুম। তার নিজ নিজ অবস্থানে থেকেই স্বাস্থ্য বিধি মেনে চিকিৎসা সেবায় সুস্থতা লাভ করেন।
শনিবার সকালের দিকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানিয়া তাবাসুমের তৃতীয় রিপোর্টটি নেগিটিভ আসায় তাকে করোনামুক্ত করা হয়। একই সাথে তার মা ও স্বামীর নমুনা রিপোর্টও নেগেটিভ আসে।
গত ১৩ এপ্রিল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানিয়া তাবাবুস। এরপর থেকে তিনি ডাক্তারের পরামর্শ মোতাবেক নারায়ণগঞ্জ শহরের খানপুর অফিসার্স কোয়ার্টারে নিজ বাসায় আইশোলেশনে ছিলেন। এসময় তার মা ও স্বামীও আক্রান্ত হন।
তানিয়া তাবাসসুম বলেন, আল্লাহর অশেষ রহমতে চিকিৎসক, পরিবার ও প্রশাসনের কর্মকর্তা, সহকর্মীদের সহযোগিতা ও অনুপ্রেরণায় করোনা ভাইরাস থেকে সুস্থ হয়েছি। বাসায় আইশোলেশনে থেকে গরম পানির ট্রিটমেন্ট, পরিষ্কার পরিছন্ন থেকে এবং ভিটামিন সাপ্লিমেন্ট খেয়ে সুস্থ হয়েছি।
অন্যদিকে খানপুর ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের তত্বাবধায়ক (সুপার) ডা. গৌতম রায়ের সর্বশেষ ৮ মে নমুনা পরীক্ষা নেগেটিভ এসেছে। এর ফলে তিনি এখন করোনামুক্ত।
গৌতম রায় জানিয়েছেন, ১৪ এপ্রিল নমুনা পরীক্ষায় তিনি পজিটিভ শনাক্ত হন। এরপর ২৪ দিন নিজ বাড়িতে আইসোলেশনে ছিলেন তিনি। পরে ২৯ এপ্রিল প্রথম জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের মাধ্যমে আইসিডিআর এ নমুনা প্রেরণ করেন এবং ৪ মে দ্বিতীয় বার নমুনা প্রেরণ করলেও সে রিপোর্ট তিনি পাননি। পরে ৩০০ শয্যা হাসপাতাল ল্যাবে তৃতীয় বারের মত নমুনা পরীক্ষা করালে সেটি নেগেটিভ আসে। তবে, আরও একটি নমুনা পরীক্ষা করানোর পর তিনি পুরোপুরি সুস্থ এটুকু নিশ্চিত হতে পারবেন বলে জানিয়েছেন।