একদিন বিরতির পর আমেরিকায় করোনায় আরও দুই বাংলাদেশীদের মৃত্যু হয়েছে। ওই দুইজন গত ১৩ মে নিউইয়র্কের দুটো হাসপাতালে শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন। গত ২৪ ঘন্টায় যে দুইজন বাংলাদেশী মারা গিয়েছেন তারা অল্প বয়সী। একজনের বয়স ৪২ বছর আরেক জনের বয়স মাত্র ৩৮ বছর। এদিকে আমেরিকায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১৪ লাখ ৩৫ হাজার মানুষ এবং মারা গিয়েছেন প্রায় ৮৫ হাজার ২০০ মানুষ। নিউইয়র্কে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৩ লাখ ৪২ হাজার এবং মৃত্যের সংখ্যা ২৭ হাজার ২০০।
নিউইয়র্ক স্টেটের গভর্নর এন্ড্রু কুমো বলেছেন, গত ২৪ ঘন্টায় নিউইয়র্ক স্টেটে করোনায় ১৬৬ মানুষ করোনায় মৃত্যুবরণ করেছে। এ ছাড়াও নিউইয়র্কে করোনায় আক্রান্ত এবং মৃত্যুর সংখ্যা প্রতি নিয়ত কমছে। অন্যদিকে বিশেষ নির্দেশনায় বিভিন্ন স্টেট সীমিতভাবে খুলে দেয়া হচ্ছে।
নিউইয়র্কের ওজনপার্ক প্রবাসী সৈয়দ রশীদ মুন্না করোনায় আক্রান্ত হয়ে নিউইয়র্কের জ্যামাইকা হাসপাতালে গত ১৩ মে বিকেলে ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৪২ বছর। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ১ ছেলে, ১ মেয়ে আত্মীয়-স্বজনসহ গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
জানা গেছে, সৈয়দ রশীদ মুন্না অত্যন্ত হাস্যজ্জ্বোল এবং সদালাপী মানুষ ছিলেন। তিনি ২ সপ্তাহ আগে করোনায় আক্রান্ত হলে তাকে জ্যামাইকা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই তিনি শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন।
উল্লেখ্য, সৈয়দ রশীদ মুন্নার দেশের বাড়ি সিলেটের হবিগঞ্জ উপজেলার বানিয়াচং উপজেলার কালীজেরা গ্রামে। সে নিউইয়র্ক মহা নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইমদাদুর রহমান চৌধুরী ও হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আলমগীর চৌধুরীর ভাগিনা।
নিউইয়র্কের লংআইল্যান্ডে বসবাসকারী প্রবাসী গোরাঙ্গ বিশ্বাস করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ১৩ মে ভোরে পরলোক গমন করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৩৮ বছর। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী এবং ৪ বছরের একটি পুত্র সন্তান রেখে যান।
জানা গেছে, গোরাঙ্গ বিশ্বাসের স্ত্রী বর্তমানে গর্ভবতী। অনাগত সন্তানের মুখ দেখার আগেই গোরাঙ্গ বিশ্বাস পরপারে চলে গেলেন। আরো জানা গেছে, গোরাঙ্গ বিশ্বাস এবং তার ভাই একই সাথে করোনায় আক্রান্ত হয়ে লংআইল্যান্ডের একটি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। তার ভাই সুস্থ হলেও তিনি চলে গেলেন না ফেরার দেশে। এ নিয়ে আমেরিকায় করোনায় ২৫৫ জন বাংলাদেশী প্রাণ হারালো।