ভিক্ষুকের চাল বিক্রির টাকা ঘুষ নেয়া সেই ইউপি মেম্বার শামীম গাজী ও তার বাবা কাদের গাজীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। বুধবার রাতে বরগুনা সদর থানায় মামলাটি করেন ভুক্তভোগী কহিনুর বেগম।
কহিনুরের পাশে দাঁড়িয়েছে উপজেলা প্রশাসন। অপরদিকে জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে তদন্ত করে তিন দিনের মধ্য প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুমা আক্তার বুধবার দুপুরে কহিনুর বেগমকে তার কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে আসেন। তিনি তাৎক্ষণিক বিধবা কহিনুরকে নগদ ছয় হাজার টাকা, দুই বান্ডেল ঢেউটিন, বিধবা ভাতার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তি, খাদ্য সহায়তা, দুর্যোগ সহনীয় ঘর এবং রেশন কার্ডের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেন। এছাড়াও সরকারি সহায়তা যাতে করে মোবাইলের মাধ্যমে পেতে পারে সে জন্য একটি মোবাইল ফোন কিনে দেন তিনি।
সদর থানার ওসি আবির মোহাম্মদ হোসেন বলেন, শামীম গাজী ও তার বাবা কাদের গাজীর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা রেকর্ড হয়েছে। আমরা আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা করেছি।
উল্লেখ্য, বরগুনা সদর উপজেলার ৯নং এম. বালিয়াতলী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ইউপি মেম্বার মো: শামীম গাজী রেশন কার্ড দেয়ার কথা বলে ভিক্ষুক কহিনুরের কাছ থেকে ২ হাজার টাকা ঘুষ আদায় করেন। এ বিষয়টি বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ হওয়ার পর নিন্দার ঝড় ওঠে।