সূত্র জানায়, এই সাবজেক্ট ম্যাপিং শুধু এসএসসি বা সমমানের বিষয়গুলো থেকে করা হতে পারে।
সূত্র জানায়, এই সাবজেক্ট ম্যাপিং শুধু এসএসসি বা সমমানের বিষয়গুলো থেকে করা হতে পারে।
এই পরীক্ষাগুলো আর না হওয়ায় কিভাবে ফল তৈরি ও প্রকাশ করা হবে, তা নিয়ে জানতে উদগ্রীব পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন আন্ত শিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি এবং ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার। তিনি বলেন, ‘যে পরীক্ষাগুলো হয়েছে, সেগুলোর নম্বর তো আমাদের হাতে আছে। যেগুলো হয়নি, সেগুলোর জন্য সাবজেক্ট ম্যাপিং করা যেতে পারে।
পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও সিস্টেম অ্যানালিস্টদের প্রস্তাবনা আমরা মন্ত্রণালয়ে পাঠাব। তাদের অনুমোদন পাওয়ার পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানো হবে।’
ব্যাবহারিক পরীক্ষার নম্বর কিভাবে যুক্ত হবে, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যে বিষয়ের পরীক্ষাগুলো হয়েছে কিন্তু ব্যাবহারিক পরীক্ষা হয়নি, ওই বিষয়গুলোর ব্যাবহারিকের নম্বরও সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ের মাধ্যমে হতে পারে। আসলে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও সিস্টেম অ্যানালিস্টদের প্রস্তাবনা বা তাতে অনুমোদন পাওয়ার আগে এ বিষয়ে চূড়ান্ত কিছুই বলা যাচ্ছে না।
সভায় অংশ নেওয়া কর্মকর্তারা জানান, কিভাবে সাবজেক্ট ম্যাপিং হবে, সেই বিষয়ে বিভিন্নজন বিভিন্ন মত দিয়েছেন।
একাধিক পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক জানান, ২০২০ সালের এইচএসসি পরীক্ষার ফল সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ের মাধ্যমে দেওয়া হয়েছিল। ২০২১ সালেও তিনটি বিষয়ের পরীক্ষা নিয়ে অন্য বিষয়গুলোর ফল সাবজেক্ট ম্যাপিং করে দেওয়া হয়েছিল। ফলে সে অভিজ্ঞতার আলোকেই প্রস্তাবনা তৈরি করা হবে।
গত ৩০ জুন এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়। এতে পরীক্ষার্থী ছিল ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৯০ জন। প্রথম দফায় প্রকাশিত রুটিন অনুযায়ী আট দিন পরীক্ষা হওয়ার পর কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে ১৮ জুলাইয়ের সব পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। এরপর আরো তিন দফায় পরীক্ষা স্থগিত করে সরকার। তবে বন্যার কারণে সিলেট বোর্ড, মাদরাসা বোর্ড ও কারিগরি বোর্ডের পরীক্ষা স্থগিত হওয়ায় তাদের মাত্র চার দিনের পরীক্ষা হয়েছে। সর্বশেষ আগামী ১১ সেপ্টেম্বর থেকে নতুন সূচিতে স্থগিত পরীক্ষা হওয়ার কথা থাকলেও গত মঙ্গলবার সচিবালয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে বাকি পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।