প্রবাসী বাংলাদেশী নাগরিক সমাজ-এর ব্যানারে অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিউইয়র্কে নাগরিক সংবর্ধনার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। এ লক্ষ্যে কুইন্সের অভিজাত এস্টোরিয়া ম্যানর-এ হলরুম বুক দেওয়া হয়েছে। আয়োজকরা এ লক্ষ্যে ঢাকায়, ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাস, নিউইয়র্কে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন ও কনস্যুলেটে যোগাযোগ করছেন। গত ৭ সেপ্টেম্বর শনিবার সন্ধ্যায় জ্যাকসন হাইটসের একটি পার্টি সেন্টারে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় এসব তথ্য বলা হয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী প্রবাসী সচেতন নাগরিক সমাজ ও প্রবাসী বাংলাদেশী নাগরিক সমাজের ব্যানারে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় প্রধান উপদেষ্টাকে সংবর্ধনা, তাঁকে বিমানবন্দর ও জাতিসংঘে ভাষণদানকালে স্বাগত জানানোর বিষয়াদি আলোচনায় স্থান পায়। সভায় আলোচনা হয়, সরকার প্রধান ড. ইউনূস ৫ দিনের সফরে আগামী ২২ সেপ্টেম্বর রোববার নিউইয়র্কে আসছেন। তিনি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশনে যোগ দেবেন। সাবেক সরকারের সমর্থকেরা যাতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে সেদিকে নজর রাখার ওপর গুরুত্ব দেন আলোচকরা।
সবংর্ধনা অনুষ্ঠানের মূল উদ্যোক্তা. ড. ইউনূসের ছাত্র প্রফেসর ড. শওকত আলী বলেন, আমরা প্রাথমিকভাবে আলোচনা করে স্যারকে সংবর্ধনার চিন্তা-ভাবনা করেছি। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে বড় পরিসরে আলোচনার তাগিদ থেকেই বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সহায়ক শক্তিগুলোর সাথে বসার প্রয়োজবোধ করি বলেই আমরা মতবিনিময় সভায় বসেছি। তিনি বলেন, সংবর্ধনার ব্যাপাওে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়, জাতিসংঘের বাংলাদেশ মিশন ও কনস্যুলেটে যোগাযোগ করা হলেও কোন সবুজ সংকেত পাওয়া যায়নি। তবে আমরা ঢাকার সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছি।
সভায় অংশ নেন বিশিষ্ট রাজনীতিক রীতা রহমান, সিনিয়র সাংবাদিক সাঈদ তারেক, ড. শফি চৌধুরী, ড. মোহাম্মদ কাশেম, ডা. আতাউল হক ওসমানী, কবি কাজী জহিরুল ইসলাম, মূলধারার রাজনীতিক মিজানুর রহমান মিজান, মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ সেলিম, কমিউনিটি অ্যাক্টিভিষ্ট অ্যাডভোকেট জামাল হোসেন জনি, শামসুল ইসলাম মজনু, হেলাল উদ্দীন, আব্দুস সবুর, মোশাররফ হোসেন সবুজ, পারভেজ সাজ্জাদ, রাসিক মালিক, মোম্মদ সেলিম, কামরুল হাসান, শাহ আলম, মির্জা আলী আজম, এম রহমান মাসুম, মাজহারুল ইসলাম মিরন, মোহাম্মদ জসিম, মোহাম্মদ মজুমদার, গিয়াস উদ্দীন, ইমরান রন শাহ, মোহাম্মদ রানা, হানিফ চৌধুরী, এমলাক হোসেন ফয়সল, মোহাম্মদ আলী, জাহাঙ্গীর আলম, মোহাম্মদ এ কাশেম, বদিউল আলম, আশরাফ হোসেন, ফেরদৌস আলম প্রমুখ। মতবিনিময় সভা সঞ্চালক ছিলেন আহমেদ সোহেল।
সভায় বক্তারা বলেন, দূতাবাস, মিশন ও কনস্যুলেটে স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারের আশীর্বাদপুষ্ট অফিসাররা এখনও অবস্থান করছে। তারা সংবর্ধনার আয়োজন করলে আমরা সেখানে যেতে পারি না। তারা পুরো অনুষ্ঠানকে স্যাবোটাজ করতে পারে। এ সময় শওকত আলী বলেন, সরকার যদি তাদের ওপর আস্থা রেখে অনুষ্ঠান করতে চায় সেক্ষেত্রে আমাদের কি করার আছে? তবে আমরা উদ্বেগের কথা যথাযথ জায়গায় জানাতে পারি। কোনভাবেই যেন ড. ইউনূসের সন্মানহানি না হয় সে ব্যাপারে দৃষ্টি রাখতে হবে।
সভায় অর্ধ শতাধিক প্রবাসী তাদের মতামত ব্যক্ত করেন। যাদের অধিকাংশই প্রবাসী বাংলাদেশী নাগরিক সমাজ-এর ব্যানারে সবংর্ধনা আয়োজনের পক্ষে কথা বলেন। এজন্য একটি সমন্বয়ক কমিটি গঠনেরও প্রস্তাব করেন কেউ কেউ।