চীনে গোপন অস্ত্র প্রকল্প চালু করেছে রাশিয়া। ধারণা করা হচ্ছে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ব্যবহারের জন্য দূর-পাল্লার সামরিক ড্রোন উৎপাদন করছে তারা। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থার রয়টার্সের এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।
ইউরোপীয় গোয়েন্দা সংস্থার দুটি সূত্র এবং রয়টার্সের পর্যালোচনা করা নথিতে বলা হয়েছে, রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন অস্ত্র কোম্পানি আলমাজ-আন্তে এর সহায়ক সংস্থা আইইএমজেড কুপোল স্থানীয় বিশেষজ্ঞদের সহায়তায় চীনে গার্পিয়া-৩ (জি৩) নামের একটি নতুন মডেলের ড্রোন তৈরি করেছে এবং এটির উড্ডয়ন পরীক্ষা করেছে।
কুপোল চলতি বছরের শুরুতে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে তার কাজের রূপরেখা দিয়ে যে প্রতিবেদন পাঠিয়েছিল তাতে একথা বলা হয়।
কুপোল পরবর্তীতে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়কে আরও জানায়, তারা চীনের একটি কারখানায় জি৩-সহ অন্যান্য ড্রোন তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে। সঙতরাং এই ড্রোনগুলো ইউক্রেইনে ‘বিশেষ সামরিক অভিযানে’ মোতায়েন করা যেতে পারে।
কুপোল, আলমাজ-আন্তে এবং রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে মন্তব্যের অনুরোধে কোনও সাড়া দেয়নি। ওদিকে, চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রয়টার্সকে জানিয়েছে, তারা এ ধরনের প্রকল্প সম্পর্কে কিছু জানে না। ড্রোন, বা মনুষ্যবিহীন আকাশযান (ইউএভি) রপ্তানির ওপর তাদের কড়াকড়ি রয়েছে।
২০২২ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে স্থল অভিযান শুরু করে রাশিয়া। দীর্ঘ এই সময়ে দুই পক্ষের প্রচুর সেনা হতাহতের শিকার হয়েছেন। মারা গেছেন অনেক বেসামরিকও। এখনো পর্যন্ত যুদ্ধ থামার কোনো লক্ষণ নেই। অনেকদিন সুবিধাজনক অবস্থানে ছিল রাশিয়া। তবে সম্প্রতি রুশ ভূখণ্ডে ইউক্রেনীয় সেনা ঢুকে রাশিয়াকে চাপে ফেলেছে।