শরীর সুস্থ রাখতে কতজনই না কতকিছু করেন! অনেকেই ওজন কমাতে না খেয়ে দিন কাটান কিংবা রাত-দিন শরীরচর্চা করেন! তবে সুস্থ থাকার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হলো আপনার খাবার। কোন ধরনের খাবার আপনি কোন সময় খাচ্ছেন, তার উপর নির্ভর করে আপনার সুস্থতা। যখন যা ইচ্ছে হলো, তাই খেয়ে নিলে আপনি কখনও সুস্থ থাকতে পারবেন না। আসুন জেনে নেওয়া যাক, এমন কোন জিনিস রয়েছে, যা খালি পেটে খেলে আপনি সুস্থ থাকবেন।
সকালে উঠে যেসব খাবার দিয়ে দিনের শুরু করবেন
মধু: সকালে খালি পেটে হালকা গরম পানিতে লেবুর রস ও মধু মিশিয়ে খেলে ওজন কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও প্রতিদিন সকালে হলকা গরম পানির সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেলে কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। ফলে বদহজম বা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা মাথা তোলার সুযোগই পায় না।
প্রতিদিন সকালে এক চামচ মধু খেলে ঠাণ্ডা, কফ, কাশি ইত্যাদি সমস্যা কমে যায়। প্রতিদিন এক গ্লাস মধু-পানি পান করলে অ্যাসিডিটির সমস্যা থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়।
তরমুজ :খালি পেটে তরমুজ খাওয়া ভালো। তরমুজ ইলেক্ট্রোলাইট সমৃদ্ধ এবং এছাড়াও উচ্চ পরিমাণে যৌগিক লাইকোপিন রয়েছে, যা হৃদয় ও চোখের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। প্রতিদিন দুই কাপের মতো তরমুজ খেলে শরীরে ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সির চাহিদা মেটে।
খেজুর: খেজুরে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম, ভিটামিন বি৬, আয়রন ইত্যাদি পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায়। নিয়মিত খেজুর খেলে তা স্বাস্থ্যের উন্নতি করে, হার্টের স্বাস্থ্য বজায় রাখে, রক্তে শর্করাকে নিয়ন্ত্রণ করে, মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়ায়।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, ভিজিয়ে রাখা খেজুর সকালে খালি পেটে খেতে হবে। তাহলেই এটি শরীরের অনেক রোগ থেকে মুক্তি দেবে।
পেঁপে: পেঁপেতে আছে ভিটামিন এ, সি, কে, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম ও প্রোটিন। সেইসঙ্গে এই ফলে আরও আছে প্রচুর ফাইবার। পেঁপেতে আছে প্রাকৃতিক শর্করা, একাধিক ভিটামিন এবং খনিজ। তাই পেঁপে খেয়ে দিন শুরু করলে সারাদিনে এনার্জির অভাব হবে না।
পেঁপেতে আছে একাধিক অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট এবং ভিটামিন এ, ভিটামিন সি। সেই সঙ্গে পেঁপে কোলাজেন সংশ্লেষে সাহায্য করে। সকালে পেঁপে খাওয়া ত্বকের জন্য খুবই কার্যকর। ত্বককে ভালো রাখার পাশাপাশি উজ্জ্বলতাও বৃদ্ধি করে।
আমলকীর জুস: সকালে খালি পেটে আমলকীর জুস খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। আমলকীর রস যকৃৎ, পেটের পীড়া, অজীর্ণ, হজমি ও কাশিতে বিশেষ উপকারী। প্রতিদিন খালি পেটে এই জুস খেলে হজম ভালো হয়, চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়ে।
ভেজানো কাঠবাদাম: কাঠবাদামের বাদামি খোসায় থাকে “ট্যানিন” নামের উপাদান, যা শরীরে পুষ্টি শোষণে বাধা দেয়। আর ভেজানো কাঠবাদাম “লাইপেজ” নামের “এনজাইম” নিঃসরণ করে যা হজমে সহায়ক; বিশেষ করে চর্বি হজমে সাহায্য করে। ভেজানো কাঠবাদামের খোসা ছাড়িয়ে খেলে মিলবে আরও নানান উপকার।
ওটমিল: কম ক্যালোরিসহ পুষ্টির জন্য সকালের নাস্তায় ওটমিল সেরা বিকল্প। এটি আপনার শরীর থেকে টক্সিন দূর করে। পাশাপাশি এটি অন্ত্রকে সুস্থ করতে সাহায্য করে।