অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে নির্বাচনই এক নম্বর প্রায়রিটি বলে জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শনিবার (৫ অক্টোবর) বিকেলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে সংলাপ শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
এর আগে দুপুর আড়াইটার দিকে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় মির্জা ফখরুলের নেতৃত্বে প্রবেশ করে ছয় সদস্যের বিএনপি প্রতিনিধি দল।
বৈঠক শেষে বের হয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমাদের দাবিগুলো জনগণের দাবি। প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনকে এক নম্বর প্রায়রিটি থাকবে বলে জানিয়েছেন।’
প্রধান উপদেষ্টার কাছে তুলে ধরা বিষয়গুলো সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘প্রশাসনে যারা আওয়ামী লীগ ও স্বৈরাচারের দোসর রয়েছে তাদেরকে অনতিবিলম্বে সরিয়ে ফেলতে হবে। আমরা বলেছি, জেলা প্রশাসনে যারা অভিযুক্ত ও নিয়োগপ্রাপ্ত সেগুলোর নিয়োগ বাতিল করতে হবে। চুক্তিভিত্তিক কিছু নিয়োগ বাতিলের দাবি জানিয়েছি। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মধ্যে দু’একজন আছেন যারা এই বিপ্লবের স্পৃহাকে থামাতে চান, তাদেরকে সরানোর বিষয়ে কথা বলেছি।’
তিনি বলেন, ‘যারা ১৫ বছর ধরে পদোন্নতিবঞ্চিত, তাদের নিরপেক্ষতার সাথে পদোন্নতি দিতে হবে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বিচারবিভাগ বিশেষ করে হাইকোর্ট যারা নিয়োগ পেয়েছে, সব দলীয় বিবেচনায় – এদের ব্যাপারে কথা বলেছি। দলকানা বিচারকদের অপসারণের কথা বলেছি, নতুন করে পিপি (পাবলিক প্রসিকিউটর) নিয়োগ করার কথা বলেছি।’
দুর্নীতি, খুন ও হত্যা মামলায় যারা গ্রেফতার হয়েছেন, তাদেরকে জামিন দেয়া হচ্ছে এবিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার কাছে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মির্জা ফখরুল। ‘সেইসাথে আওয়ামী লীগের আমলে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর সাজানো মিথ্যা মামলায় রয়েছে তা প্রত্যাহার চেয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ভারতে অবস্থান করছেন। সেখান থেকে সে নানা মিথ্যা গুজব ক্যাম্পেইন করে যাচ্ছেন। এ বিষয়ে ভারত সরকারের সাথে কথা বলতে বলেছি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কথা বলবে বলে জানিয়েছে। পাহাড়ে কারা অশান্তি করার পাঁয়তারা করতেছে, তাদের নজরে আনার কথা বলেছি। তাদেরকে গ্রেফতার করা হোক, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হোক।‘