বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর র্যাব প্রাণঘাতী কোনো গুলি ব্যবহার করেনি বলে দাবি করেছেন সংস্থাটির আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনীম ফেরদৌস।
তিনি বলেন, ছাত্র-জনতার ওপর র্যাব কখনোই প্রাণঘাতি গুলি ব্যবহার করেনি। আমরা ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সঙ্গে ছিলাম। এখনো অভ্যুত্থান সফল করতে কাজ করে যাচ্ছি।
রোববার (৬ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে সংস্থাটির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এমন দাবি করেন তিনি।
তাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছে যে পুলিশের ৯০ জনের বেশি কর্মকর্তা এজাহারভুক্ত আসামি। র্যাবের মধ্যে এমন কেউ আসামি হয়েছে কিনা? তখন তিনি বলেন, র্যাবের কোনো সদস্য পালিয়ে যায়নি। কোনো সদস্য কর্মবিরতিতেও যায়নি। আমাদের কোনো সমস্যা ছিল না।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গণ-হত্যায় জড়িতদের আটকে র্যাবের ভূমিকা জানতে চাইলে লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনীম ফেরদৌস বলেন, গত ৫ আগস্টের পর এখন পর্যন্ত র্যাব এক হাজার ৭০ জনকে আটক করেছে। এর মধ্যে সরকারের উচ্চপর্যায়ের ৩৯ জন রয়েছেন। পাশাপাশি অস্ত্র হাতে ছাত্র জনতার ওপর গুলির ঘটনায় ১৫ জনকে আটক করা হয়েছে। যাদের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
তিনি আরো বলেন, নেতৃস্থানীয় রাজনৈতিক নেতা থেকে করে উচ্চপর্যায়ের অনেককেই আটক করা হচ্ছে। এছাড়া আমরা বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করেছি। র্যাব যদি কোনো তথ্য পায়, তাহলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেবে। র্যাব সব সময় সাধারণ মানুষের পাশে আছে।
ওবায়দুল কাদের, নানক ও ডিবির হারুনের মতো বিতর্কিতদের আটকের বিষয় মুনীম ফেরদৌস বলেন, তাদের বিষয়ে আমাদের কাজ চলছে। তথ্য পেলেই আটক করা হবে।