শুক্রবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৪১ পূর্বাহ্ন

শীতে যেসব খাবার রাখবে উষ্ণ

বিডি ডেইলি অনলাইন ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ১৩ বার

শীতের আমেজে সারাদেশ জুড়ে। তীব্র গরম থেকে পরিত্রাণ পেয়েছে সবাই। এখন প্রতিদিনিই বাড়বে শীতের তীব্রতা। নিজেকে উষ্ণ রাখতে এই শীতে এবার গরম পোশাকের পাশাপাশি খাবাররে তালিকায় কিছু খাবার রাখুন, যা শরীরকে করবে উষ্ণ।

বিশেষ কিছু খাবারও যে শীত তাড়াতে ভূমিকা রাখে তা হয়তো অনেকেরই জানা নেই। জেনে নিন সেসব খাবারের নাম ও কিছু গুণ।

পেঁয়াজ:

পেঁয়াজ পেঁয়াজ ঘাম ঝরাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এটি শীতের বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা দূর করে শরীরকে গরম রাখে। পেঁয়াজ চাইনিজ ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এটি শরীর গরম করে কাজ করার শক্তি যোগায়।

আদা:

জেনে নেই আদার নানা গুণ

আদা শুধু শরীরকে গরম করে না, তার সাথে এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে হজমশক্তি বাড়ায়। প্রতিদিনকার সালাদ, রান্নায় আদা কুচি ব্যবহার করুন। এমনকি গরম পানিতে আদা কুচি মিশিয়ে পান করুন। এটি আপনার শরীর ভিতর থেকে গরম করে থাকবে।

হলুদ: হলুদ দিয়ে চুলের যত্নপ্রতিদিনকার খাবারে হলুদ ব্যবহার করুন, এটি আপনার শরীরকে ভিতর থেকে উষ্ণ করে থাকে। দুধের সাথে হলুদ বা হলুদ চা পান করতে পারেন শীতের থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য।

কফি:

coffee

কফির ক্যাফেইন উপাদান আপনার মেটাবলিজমকে সাময়িকভাবে বৃদ্ধি করে যা আপনাকে উষ্ণ অনুভূতি প্রদান করে। শীতের সকালে এক কাপ কফি আপনাকে সারাদিনের কাজে শক্তি প্রদান করবে।

বাদাম:

বাদাম খাওয়ার যত উপকারিতা

বিভিন্ন জাতের বাদাম যেমন, চিনাবাদাম, আখরোট, কাঠবাদাম ইত্যাদি ভালো কোলেস্টেরল, ভিটামিন, ফাইবার ও ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিডের সবচেয়ে ভালো উৎস। গরমজাতীয় খাবার বলে শীতে স্যাকস হিসেবে বাদাম খেতে পারেন।

গুড়:

গুড় আপনার মিষ্টি খাবারকে অন্যরকম স্বাদ দিয়ে থাকে। আদার সাথেগুড় মিশিয়ে খেতে পারেন এটি আপনার ঠাণ্ডা কাশি উপশম করতে সাহায্য করে থাকে। গুড়ের তৈরি খাবার শীতে খান।

ডিম:ডিমের সাদা অংশে থাকে প্রোটিন ও কুসুমে থাকে ভাল ফ্যাট, আয়রন ও ভিটামিন। শিশুর দৈহিক বৃদ্ধি, হাড় শক্ত করতে ও মেধার বিকাশে ডিম খুবই কার্যকর।

শীতে শরীর গরম রাখতে নিয়মিত ডিম খান। এটি শরীর গরম রাখার পাশাপাশি আপনাকে শক্তি প্রদান করে। ডিম সিদ্ধ, অমলেট অথবা ডিম ভাজি করে খেতে পারেন।

মাংস: খাসি ও গরুর মাংস শরীরের তাপমাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে। তবে তা বেশি পরিমাণে খাওয়া উচিত নয়।

শুকনো ফল:

শুকনো ফলের অসাধারণ স্বাস্থ্যগুণ!খেজুর, অ্যাপ্রিকট এবং অন্যান্য শুকনো ফল আপনার শরীরের যন্ত্রসমূহকে গরম ও স্বাভাবিক রাখে।

আপেল:

আপেলের খোসাতেও এমন কিছু উপকারী উপাদান থাকে যা শরীর সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।

আপেলে রয়েছে প্রায় ৪.৪ গ্রাম ফাইবার। আপেলের স্যলুবল এবং ইনস্যলুবল ফাইবার দুটোই আমাদের দেহের উষ্ণতা ধরে রাখতে সক্ষম। এ ছাড়াও আপেলে রয়েছে ৮৬% পানি যার ফলে আমরা শীতে কম পানি পান করলেও আমাদের দেহকে সঠিকভাবে হাইড্রেট রাখতে সহায়তা করবে।

মিষ্টি আলু: 

জেনে নিন লাল মিষ্টি আলুর ঔষধি গুণ

শীতকালের এই সবজিটিরও রয়েছে শীত দূর করার ক্ষমতা। ফাইবার, ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, আয়রন সমৃদ্ধ মিষ্টি আলুকে বলা হয় সুপারফুড, যার রয়েছে দেহকে নানা ধরনের রোগ থেকে মুক্ত রাখার পাশাপাশি শীত তাড়ানোর বিশেষ ক্ষমতা।

মধু:

প্রকৃতির মিষ্টি অমৃত মধুতে রয়েছে প্রায় ৪৫টি খাদ্য-উপাদান। ছবি: সংগৃহীত

 সর্দি, কাশি, ফ্লু ইত্যাদির বিরুদ্ধে লড়তে অনন্য এক উপাদান মধু। মিষ্টিজাতীয় খাবার হলেও মধুতে নেই বাড়তি ক্যালরির ঝামেলা। এ ছাড়া শরীর গরম রাখতেও বেশ উপকারী।

মরিচ:

কাঁচা মরিচ শরীরের মেটাবলিজম বাড়ায়। ছবি: সংগৃহীত

মরিচে রয়েছে ভিটামিন সি, যা শরীর থেকে ঠাণ্ডার অনুভূতি দূর করে। সর্দি এবং কফ কমায়। মরিচের ঝাল একটু বেশি দিয়ে খাবার রান্না করে খেয়ে দেখুন, শীত পালিয়ে যাবে।

দারুচিনি:

দারুচিনিতে প্রচুর পরিমাণে অত্যন্ত শক্তিশালী পলিফেনল অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। ছবি: সংগৃহীত

 শরীরের তাপমাত্রা কমে যাওয়া থেকে রক্ষা করতে এই মসলা বেশ উপকারী। আলাদা স্বাদ আনতে স্যুপ, রান্না করা খাবার, সালাদের সঙ্গে দারুচিনি মিশিয়ে নিতে পারেন। এ ছাড়া চায়ের সঙ্গেও মেশাতে পারেন।

রসুন: 

নানা ভেষজ গুণে ভরপুর রসুন। ছবি: সংগৃহীত

সর্দি, কাশি ও গলা ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে কার্যকরী রসুন। পাশাপাশি শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। প্রতিদিন তিন, চার কোয়া রসুন সরাসরি বা রান্নায় ব্যবহার করে খেতে পারেন।

ঘি এবং আঁশ জাতীয় খাবার:

কোন মানুষের দেশি ঘি খাওয়া উচিত নয়?ভারতের বিখ্যাত পুষ্টি বিশেষজ্ঞ নিখিল ভাতস বলেছেন যে দেশি ঘি খাওয়া কিছু লোকের ক্ষতি করতে পারে।

 শীতকালে আঁশ জাতীয় খাবার বেশি করে খেলে হজম প্রক্রিয়া বিগড়ে যাওয়ার আশঙ্কা কমে। সেই সঙ্গে শরীরের ভেতরের তাপমাত্র বাড়তে শুরু করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই বাইরের ঠাণ্ডা সেভাবে শরীরকে কাবু করতে পারে না।

তুলসি:

tulsi

আয়ুর্বেদিক গ্রন্থ থেকে জানতে পারা যায়, শীতকালে শরীরকে সুস্থ এবং কর্মক্ষম রাখতে তুলসি এবং আদার কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। কারণ এই দুই প্রাকৃতিক উপাদানের শরীরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিবায়োটিক এবং অ্যান্টিভাইরাল প্রপার্টিজ, যা শীতের কামড় থেকে বাঁচাতে সব দিক থেকে সাহায্য করে থাকে।

সবুজ শাক-সবজি:

শীতকাল মানেই সবজি বাজারে রঙের পরশ! আর সেই রং যাতে আপনার খাবারের প্লেটেও লাগে সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। আর সেই কারণেই তো প্রতিদিনের ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে গাজর, পালং শাক, বিনস, টমদু এবং পুষ্টিকর নাশতার মাধ্যমে।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019 bangladeshdailyonline.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com