মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৩০ অপরাহ্ন

শহীদ জিয়ার শিক্ষা নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে : নজরুল ইসলাম খান

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ১ জুন, ২০২০
  • ২৩৫ বার

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, মানুষের দুঃসময়ে পাশে দাঁড়ানোর যে শিক্ষা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান দিয়ে গেছেন সে শিক্ষা নিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। দেশকে সমৃদ্ধ করেছিলেন প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া দেশকে সেখান থেকে এগিয়ে নিয়েছেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ হোক তা অনেকেই চায় না। এ জন্য ষড়যন্ত্রের মুখে আমাদের পরাজিত করছে। জনগণের ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। জনগণ ভোটের অধিকার পেলে নির্ভয়ে ভোট দিতে পারলে বেগম খালেদা জিয়াই আবার প্রধানমন্ত্রী হবেন।

সোমবার দুপুরে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৩৯তম শাহাদাৎবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা-১৮ আসনের অন্তর্গত খিলক্ষেত থানা বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে আলোচনা সভা, মিলাদ মাহফিল ও দরিদ্রদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণের সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ঢাকা মহানগর উত্তর যুবদলের সভাপতি এসএম জাহাঙ্গীর হোসেনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে খিলক্ষেত থানা বিএনপির সভাপতি এসএম ফজলুল হকের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন খিলক্ষেত থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সোহরাব খান স্বপন, বিএনপি নেতা আনোয়ার হোসেন, যুবদলের মোবারক দেওয়ান, নুরুল হুদা মুরাদ সহ স্থানীয় বিভিন্ন অংগ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

নজরুল ইসলাম খান বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন। ইতিহাস পরিবর্তন করা যায় না। অনেকে অনেক কথা বলেন। আমরা নিজেরা কানে শুনেছি শহীদ জিয়া স্বাধীনতার ঘোষণা করেছেন। এখন আইন করে যদি বাধ্য করা হয় এটাও বলা যাবেনা তাহলে এটা মানা সম্ভব না। আমরা যুদ্ধ করেছি ধমক দিয়ে সত্য কথা বলা বন্ধ করা যাবে না। ১৯৭১ সালে যিনি আমি মেজর জিয়া বলে মানুষের সামনে হাজির হয়েছিলেন। আরেকবার বাংলাদেশ যখন দুঃসময়ে এসেছিল ১৯৭৫ সালে তখন তিনি আবার জনগণের সামনে হাজির হয়েছিলেন আমি মেজর জেনারেল জিয়া বলছি এই বলে।

তিনি জোর করে ক্ষমতা দখল করেন নাই। সৈনিকরা এবং সাধারণ মানুষের সম্মিলিত বিপ্লবের মধ্য দিয়ে তিনি রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণে বাধ্য হয়েছিলেন। দেশে কোনো আইন ছিলনা ছিলনা ছিল না প্রতিষ্ঠান ছিল না সে দেশটাকে সুশৃংখল করে এবং ৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ যখন লক্ষ লক্ষ মানুষ জীবন দিয়েছিল তাকে সংগঠনের দায়িত্ব নেন এবং দেশটাকে এগিয়ে যান মেজর জিয়া।একাত্তর সালে স্বাধীনতার ডাক দিয়ে তিনি শুধু ক্ষান্ত হন নাই সম্মুখ থেকে লড়াই করেছেন।

তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের প্রথম সেক্টর কমান্ডার। জেড ফোর্সের ও কমান্ডার।বাংলাদেশের প্রথম নির্বাচিত মহিলা প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া।আমাদের নেতা তারেক রহমান বিশ্বের এরকম কোনো নেতা নেই যার মা নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী আর বাবা জনগণের নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি। তারেক রহমান আমাদের নেতা। বেগম খালেদা জিয়া আমাদের নেত্রী। আমরা সেই শহীদ জিয়ার কর্মী। আমরা তো গর্বিত। আমরা কখনো সামরিক আইন জারি করি নাই যেটা করেছিল আওয়ামী লীগের নেতা মোস্তাক।

নজরুল ইসলাম খান বলেন,আমরা কখনো জরুরি আইন জারি করি নাই যেটা করেছিল শেখ সাহেব। আমরা গণতন্ত্র হত্যা করি নাই। আমাদের সময় কখনো দুর্ভিক্ষ হয় নাই। শহীদ জিয়ার সময়ে একবার খরা হয়েছিল। অনেকে ধারণা করেছিল অনেক লোক মারা যাবে কিন্তু তিনি উদ্যোগ নিয়ে সকল এমপিকে চট্টগ্রাম পাঠিয়ে খাবার নিয়ে যার যার এলাকায় পাঠান।

আজকে করোনার ভাইরাসের দুঃসময়ে এমপি মন্ত্রী সাহেবরা কোথায়। পত্র পত্রিকায় দেখা যায় এমপি-মন্ত্রীদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। লক্ষ কোটি মানুষ শহীদ জিয়াকে ভালোবেসেছে। আমরা তার কর্মী। মানুষের ভালবাসা অর্জন করতে পারা শহীদ জিয়ার প্রতি আনুগত্য প্রমাণ করা। এটা করতে না পারলে এ দাবি করা যাবে না আমরা শহীদ জিয়ার কর্মী।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আমি জানি আমরা সবাই কষ্টে আছি। ১২-১৩ বছর যাবত সরকারের নির্যাতন নিপীড়নে আমরা সবাই কষ্টে আছি। মিথ্যা মামলায় জর্জরিত হয়ে আছি।তারপরও বিএনপি নেতা-কর্মীরা নিজেদের পকেটের টাকা দিয়ে অসহায় গরীব মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ভীষণ অসুস্থ। তারপরও তিনি আমাদের ডেকে খোঁজখবর নেন আমরা কিভাবে জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছি কি করছি। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান অসুস্থ অবস্থায় আছেন। তিনি ও সপ্তাহে দুদিন করে খোঁজখবর নেন। এই কাজ করতেন শহীদ জিয়া রহমান।

তিনি আরো বলেন, তিনি রাত ১২ টায় একটাও আমাদের ফোন দিতেন। বলতেন কি করছেন ঘুমাচ্ছেন। আপনারা কি করে ঘুমান দেশের মানুষের এত কষ্ট আমি তো ঘুমাতে পারি না। দেশের রাষ্ট্রপতি হয়েও মানুষের জন্য ঘুমান নাই। মানুষের মানুষের পাশে দাঁড়ানোর যে শিক্ষা শহীদ জিয়ার দিয়ে গেছেন তা নিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।তাহলে শহীদ জিয়াউর রহমানের আত্মার শান্তি পাবে।

বিএনপির শীর্ষ এই নেতা বলেন, আপনারা যার যার ধর্ম অনুযায়ী শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের জন্য দোয়া করবেন তাকে যেন আল্লাহ বেহেশত নসিব করেন। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া যেন সুস্থ হয়ে আবার দেশ পরিচালনা করতে পারেন। আর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সকল বাধা বিপত্তি কাটিয়ে দেশের হাল ধরতে পারেন। এটুকু আপনাদের কাছে প্রার্থনা।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019 bangladeshdailyonline.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com