

চট্টগ্রামে বিএনপি কর্মী এবং ব্যবসায়ী আবদুল হাকিম (৪৫) খুনের ঘটনায় বুধবার বিকাল সাড়ে চারটা পর্যন্ত মামলা দায়ের হয়নি। এ ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে চারজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। তবে তাদের পরিচয় জানায়নি পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে রাউজানের বিভিন্নস্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়েছে।
স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীদের অভিযোগ বিদেশে পলাতক পুলিশের তালিকাভুক্ত রাউজানের শীর্ষ সন্ত্রাসী ফজল হকের ক্যাডারদের হাতে আবদুল হাকিম খুন হয়েছেন। বিএনপির এমন অভিযোগ তদন্ত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা।
সূত্রটি জানায়, হেলমেট ও মুখোশপরা খুনিদের বিষয়ে কিছু তথ্য পাওয়া গেছে। সিসিটিভি ফুটেজে তাদের ছবিও পাওয়া গেছে। এসব যাচাই করছে পুলিশ।
এর আগেও ফজল হক বাহিনীর হাতে খুন হয়েছেন জাহাঙ্গীর নামে এক ব্যক্তি। তাকে জুমার নামাজে যাওয়ার পথে হত্যা করা হয়। একই কায়দায় মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) বিকাল ৫টার দিকে মুদনাঘাট সেতু পার হয়ে হাটহাজারী থানা এলাকায় প্রকাশ্যে রাস্তায় প্রাইভেটকারে গুলি করে ব্যবসায়ী আবদুল হাকিমকে খুন করে দুর্বৃত্তরা। আবদুল হাকিম বিএনপি নেতা গিয়াসউদ্দিন কাদের চৌধুরীর অনুসারী ছিলেন বলে জানা গেছে।
নিহত আব্দুল হাকিম রাউজান উপজেলার বাগোয়ান ইউনিয়নের পাচখাইন গ্রামের বাসিন্দা। নিজ বাড়িতে হামিম এগ্রো নামে একটি গরুর খামাার পরিচালনা করতেন তিনি। চট্টগ্রামের হাটহাজারী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজী মো. তারেক আজিজ বলেন, ব্যবসায়ী আব্দুল হাকিম প্রাইভেটকারে চালকের পাশে বসেছিলেন। শহরে বাসায় যাচ্ছিলেন বলে জানতে পেরেছি। মদুনাঘাট সেতুর একেবারে গোড়ায় তিনটি মোটরসাইকেলে হেলমেট পরা তিনজন এসে তাকে গুলি করে চলে যায়। এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়ার পর তার মৃত্যু হয়।
বিএনপি নেতা গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, নিহত আব্দুল হাকিম বিএনপির সমর্থক ছিল। তবে সক্রিয় রাজনীতি করতেন না। তার পুরো পরিবার বিএনপির সমর্থক। ২০১০ সাল থেকে তিনি আমার সঙ্গে ছিলেন। তার বাবা, নানার সঙ্গেও আমাদের পারিবারিক সম্পর্ক আছে। এভাবে প্রকাশ্য দিবালোকে রাস্তায় গাড়ি দাঁড় করিয়ে কারা তাকে হত্যা করল, আমি জানি না। আমি খুনিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি।