নওগাঁর বদলগাছীতে এক গ্রাম পুলিশের ধর্ষণের শিকার হয়ে স্কুলছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এমনকি গর্ভের সন্তান নষ্ট করাও অভিযোগ করেছেন ওই স্কুলছাত্রী।
বদলগাছী উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নে দায়িত্বরত গ্রাম পুলিশ বাবুল হোসেন ফেলুর বিরুদ্ধে উঠেছে এমন অভিযোগ। তিনি ওই ইউনিয়নের ধর্মপুর গ্রামের বাসিন্দা। আর ভুক্তভোগী স্থানীয় একটি মাদরাসার নবম শ্রেণির ছাত্রী।
ওই স্কুলছাত্রীর পরিবার জানায়, প্রতিবেশী গ্রাম পুলিশ বাবুল হোসেন ফেলু বিয়ের প্রলোভন দিয়ে ভুক্তভোগীকে একাধিকার ধর্ষণ করেন। এতে সে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। গর্ভধারণের পর বাবুলকে ওই স্কুলছাত্রী বিয়ের কথা বললে তিনি কোনো সাড়া দিতেন না।
তাদের অভিযোগ, গত বৃহস্পতিবার বিয়ে করবে বলে ওই ছাত্রীকে নিয়ে জয়পুরহাটে যান বাবুল। পরদিন শুক্রবার সেখান এক বাড়িতে হাতুড়ে চিকিৎসকের দ্বারা তার গর্ভপাত করান। এরপর ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে এবং স্থানীয়ভাবে মীমাংসার জন্য চাপ দিতে থাকেন বাবুল। তাদেরকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তারা।
বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে অভিযুক্তের পরিবারের পক্ষ থেকে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা দিয়ে ভুক্তভোগীর পরিবারের সঙ্গে সমঝোতার জন্য প্রস্তাব দেওয়া হয়। তবে ভুক্তভোগীর পরিবার সমঝোতা করতে রাজি হয়নি। ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন অভিযুক্ত গ্রাম পুলিশ বাবুল হোসেন ফেলু।
অভিযুক্তের বড় ভাই সাইদুল হোসেন মেলেটারি বিষয়টিকে ‘ষড়যন্ত্র’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, ‘উদ্দেশ্যমূলকভাবে তার ভাইকে ফাঁসানো হচ্ছে। কিছু টাকা নেওয়ার জন্য আমাদের বিরুদ্ধে গুজব রটানো হচ্ছে।’
পাহাড়পুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বলেন, ‘স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের খবর আমি লোকমুখে শুনেছি। কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে গ্রাম পুলিশ সদস্য বাবুল হোসেন ফেলু দোষী কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে এবং উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বদলগাছী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চৌধুরী জোবায়ের আহম্মদ বলেন, ‘থানায় কেউ এ ধরনের অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’