নিজে চিকিৎসক হয়েও চিকিৎসাসেবা পাননি ডা. আরিফ হাসান। করোনাভাইরাসের উপসর্গ থাকায় তার চিকিৎসায় এগিয়ে আসেনি কোন চিকিৎসক। অবশেষে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি করার আগেই মৃত্যু হয় ওই চিকিৎসকের। এমনটাই অভিযোগ করেছে তার পরিবারের সদস্যরা। ঘটনাটি ঘটেছে চট্টগ্রামে।
চিকিৎসকে স্বজনরা অভিযোগ করে জানান, গত ২ জুন থেকে আরিফ হাসান জ্বরে ভুগছিলেন। গত শুক্রবার সকালে হঠাৎ শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেলে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে প্রথমে ৪ ঘণ্টা ধরে কোনো চিকিৎসক তাকে দেখেননি। করোনা সন্দেহে নার্স কিংবা ওয়ার্ড বয়রাও কাছে আসেনি।
এর ৪ ঘণ্টা পর আরিফ হাসানকে বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সারাদিন সেখানে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। রাতে চমেক হাসপাতালে আইসিইউর ব্যবস্থা হয়েছে খবর পেয়ে সেখানে নেওয়া হলেও ভর্তির আগেই মারা যান এই চিকিৎসক।
আরিফের ছোট বোন শায়লা হাসানের স্বামী অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা মুনির উদ্দিন হাসান বলেন, চিকিৎসক হয়েও চিকিৎসার অবহেলায় এমন মৃত্যু মেনে নেওয়ার মতো নয়। চমেক হাসপাতালে প্রথমে নেওয়ার পর ৪ ঘণ্টায়ও কোনো চিকিৎসক আসেনি। ওই মুহূর্তে সংকটাপন্ন অবস্থায় আইসিইউ সাপোর্ট চেয়েও পাওয়া যায়নি। তখন পাওয়া গেলে আরিফকে বাঁচানো যেতো।
যদিও চিকিৎসকের অবহেলা সংক্রান্ত কোনো অভিযোগ পাননি বলে দাবি করেছেন বিএমএ চট্টগ্রাম শাখার সভাপতি ডা. মুজিবুল হক খান।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক আফতাবুল ইসলাম বলেন, ডা. আরিফ হাসানের করোনার উপসর্গ ছিল। তিনি নমুনা দিলেও রিপোর্ট পাননি। চিকিৎসা না পাওয়ার অভিযোগও সত্য নয় বলে দাবি করেন তিনি।
ডা. আরিফ ঢাকা মেডিকেল কলেজের ৪৯তম ব্যাচের ছাত্র ছিলেন। তিনি চট্টগ্রাম নগরের কোতোয়ালী থানার আবেদিন কলোনির বাসিন্দা। সাবেক ক্রিকেটার মিনহাজুল আবেদিন নান্নু তার খালাতো ভাই।