দ্বিতীয় স্ত্রীকে তার বাবার বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। গতকাল শুক্রবার এ ঘটনা ঘটেছে জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার গপিনাথপুর হরিসাড়া গ্রামে।
নিহতের নাম রোজিনা আখতার (১৬)। সে উপজেলার গুডুম্বা পাড়ার মকবুল হোসেনের মেয়ে। রোজিনা গুডুম্বা ডি.এস ফাজিল মাদ্রাসার ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, রোজিনা আখতারের সঙ্গে পাশের এলাকা গপিনাথপুর হরিসাড়া গ্রামের এক সন্তানের জনক মেহেদীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। রোজিনা অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ার পরও তারা নিজেদের সিদ্ধান্তে বিয়ে করেন। মেহেদীর আগে স্ত্রী থাকায় তাদের সংসারে ঝগড়া-বিবাদ লেগেই থাকত। আর এ কারণে রোজিনা তার বাবার বাড়িতে থাকত।
রোজিনার স্বামী মেহেদী তাকে গতকাল শুক্রবার মোবাইল ফোনে ডেকে নিজে তার ইজিবাইক নিয়ে আসেন। আজ শনিবার ভোরে স্থানীয়রা মেহেদীর বাড়ির পাশে রোজিনা আখতারের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। রোজিনার বুকের নিচে ছুরিকাঘাতের ক্ষতও দেখতে পান তারা। পরে তারা রোজিনার পরিবারকে খবর দেন।
এ হত্যাকাণ্ডের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। আর আজ শনিবার সকাল ১০টার দিকে মেহেদী পালানোর সময় তাকে পার্শ্ববর্তী ক্ষেতলাল উপজেলার ফুলদিঘি বাজার এলাকা থেকে আটক করে পুলিশ।
নিহত রোজিনার বাবা মকবুল হোসেন বলেন, ‘আমার মেয়ের বিয়ের পর থেকেই দেনমোহরের টাকা নিয়ে স্বামীর সঙ্গে কলহ লেগে থাকত। শুক্রবার সকালে আমার মেয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়ে সন্ধ্যায় ফিরে আসে। এ নিয়েও তাদের মধ্যে ঝগড়ার সৃষ্টি হয়। শুক্রবার গভীর রাতে জামাই মেয়েকে ডেকে নিয়ে যায়। পরে সকালে বাড়ির পাশে তার লাশ দেখতে পাই।’
আক্কেলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু ওবায়েদ বলেন, ‘নিহত রোজিনা আখতারের স্বামী মেহেদী হাসানের প্রথম স্ত্রী থাকায় মোহরানার টাকা নিয়ে তাদের মধ্যে কলহ চলছিল। শুক্রবার গভীর রাতে পরিকল্পিতভাবে রোজিনাকে ডেকে নিয়ে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে বাড়ির পাশে ফেলে যাওয়া হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। তার স্বামীকে পার্শ্ববর্তী ক্ষেতলালের ফুলদিঘি এলাকায় পালানোর সময় আটক করা হয়েছে।’