বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধা মনজুর আলী নিউইয়র্কে এলম্হার্স্ট হাসপাতালে ১৭ জুন বুধবার সকালে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহে ওয়া ইন্নাইলাইহে রাজেউন)। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী এবং একমাত্র কন্যা মৌলি-সহ অসংখ্য আত্মীয় স্বজন রেখে গেছেন। মুক্তিযোদ্ধা নন্তুর বড়ভাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন আর্টস বিভাগের অধ্যাপক ও সাবেক ডীন মো. মতলুব আলী জানান, বেশ ক’বছর থেকেই মুক্তিযোদ্ধা ননতু হৃদরোগ এবং কিডনী রোগে ভোগছিলেন। পুনরায় হৃদরোগে আক্রান্ত হবার পরই তাকে নিকটস্থ হাসপাতালে নেয়া হয়েছিল।
রংপুরের সন্তান ননতুর (৭০) নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হয় ১৮ জুন বৃহস্পতিবার দুপুরে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারে। এরপরই এই মুক্তিযোদ্ধাকে নিউজার্সির মার্লবরোতে মুসলিম কবরস্থানে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়েছে। করোনা পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কন্সাল জেনারেল সাদিয়া ফয়জুননেসা সশরীরে উপস্থিত হতে না পারলেও জাতীয় পতাকাসহ তার ভাইস কন্সাল আসিফ আহমেদকে পাঠিয়েছিলেন।
মুক্তিযোদ্ধা ননতুর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ এবং শোক-সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সহমর্মিতা জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রস্থ প্রগ্রেসিভ ফোরামের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা খোরশেদুল ইসলাম এবং সাধারণ সম্পাদক আলীমউদ্দিন। উল্লেখ্য, ননতু ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংস্কৃতি সংসদের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, উদীচী শিল্পী গোষ্ঠির কেন্দ্রীয় সদস্য এবং প্রগতিশীল আন্দোলনের সক্রিয় সৈনিক। পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে বাঙালি চেতনায় প্রগতিশীল আন্দোলনের পথিকৃত মুক্তিযোদ্ধা ননতু বেশ ক’বছর থেকেই সপরিবারে নিউইয়র্ক সিটির জ্যাকসন হাইটসে এলমহার্স্ট এলাকায় বাস করছিলেন।