রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৩৫ পূর্বাহ্ন

পশ্চিমবঙ্গে করোনার নতুন উপসর্গ

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ২৪ জুন, ২০২০
  • ২৪৩ বার

জ্বর, কাশি আর শ্বাসকষ্ট নেই- কিন্তু সন্দেহের বশে করোনা টেস্ট করে দেখা গেল পজিটিভ ফল এসেছে। ভারতের পশ্চিমবঙ্গে বেশ কয়েক রোগীর ক্ষেত্রে এমনটি দেখা গেছে। তাদের পায়ের আঙুলে ছোট ফুসকুড়ি বা ঘা নিয়ে ডাক্তারের কাছে গিয়েছিলেন। এ জন্য এটিকে এখন করোনার উপসর্গ হিসেবে ধরে নেওয়া হচ্ছে। খবর আনন্দবাজার পত্রিকা।

চিকিৎসক অরিন্দম কর জানিয়েছেন, কোভিড-১৯ আক্রান্তদের শ্বাসকষ্ট ও জ্বর শুরু হয় সংক্রমণের ৫ থেকে ৬ দিন পর থেকে। জ্বর নিয়ে যখন রোগীরা আসেন তার সপ্তাহখানেক আগেই তিনি আক্রান্ত হন। কলকাতার বেশ কয়েকটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করোনা আক্রান্তদের অনেকেই জ্বর বা কাশি

ছাড়া অন্য উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন। এমনকি কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালের মুখ্য প্রশাসনিক আধিকারিক (সিইও) মারাত্মক ডায়ারিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। লালারস পরীক্ষায় তার কোভিড-১৯ ধরা পড়ে। কোভিড-১৯ আক্রান্ত হলে প্রাথমিক উপসর্গ জেনে নিয়ে রোগীকে আইসোলেশনে রেখে উপসর্গভিত্তিক চিকিৎসা করলে সমস্যা অনেকটাই কম হতে পারে বলে জানালেন অরিন্দম কর।

এদিকে ইন্ডিয়ান সোসাইটি ফর পেডিয়াট্রিক ডার্মাটোলজির সভাপতি সন্দীপন ধর জানালেন, কোভিড ১৯-এর উপসর্গ হিসেবে পায়ের আঙুলে ছোট ফুসকুড়ি ও ঘা হতে পারে। এ ছাড়া ত্বকের বিভিন্ন জায়গায় ছোট ছোট মশার কামড়ের মতো র‌্যাশ দেখা যেতে পারে। ইতালি ও চীনের হুবেইয়ের হাসপাতালে ভর্তি কোভিড আক্রান্তদের ২০ শতাংশের শরীরে এই র‌্যাশ দেখা গেছে। চিকিৎসকরা প্রথমে ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বলে মনে করলেও পরবর্তীকালে জানা যায়, নভেল করোনার কারণেই ত্বকে নানা ধরনের র‌্যাশ বেরোয়।

অ্যান্টিবডি নিয়ে হতাশ বিজ্ঞানীরা : করোনা রোগীদের শরীরে অ্যান্টিবডি নিয়ে হতাশার কথা শুনিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। নতুন গবেষণা জানিয়েছে, কোভিড-১৯ থেকে সেরে ওঠা রোগীদের শরীরে অ্যান্টিবডির মাত্রা দ্রুত কমতে থাকে। আক্রান্ত হওয়ার দু-তিন মাসের মধ্যে কমতে থাকে অ্যান্টিবডি। উপসর্গ ও উপসর্গবিহীন কোভিড-১৯ রোগীদের শরীরে গবেষণা চালিয়ে এমন তথ্য পেয়েছেন চীনা বিজ্ঞানীরা। এতে নভেল করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে শরীরে রোগ প্রতিরোধক্ষমতার স্থায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। সম্প্রতি নেচার মেডিসিন জার্নালে এ সংক্রান্ত নিবন্ধ প্রকাশ হয়েছে। এর আগে গবেষকরা বলেছিলেন, যাদের শরীরে করোনার অ্যান্টিবডি পাওয়া যাবে, তাদের বাইরে চলাফেরা করতে সমস্যা নেই। তাই বর্তমানে কোভিড-১৯ থেকে সেরে ওঠা মানুষের প্লাজমা অ্যান্টিবডি দিয়ে অন্য কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসা দেওয়ার চেষ্টা চলছে।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019 bangladeshdailyonline.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com