ডিউটি চলাকালীন সময়ে পর্যাপ্ত সুরক্ষা সামগ্রীর অভাব, করোনা টেস্টের ব্যবস্থা না থাকা এবং আক্রান্ত চিকিৎসকদের চিকিৎসার ক্ষেত্রে নানা ভোগান্তির অভিযোগসহ চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন বারডেম হাসপাতালের শতাধিক অস্থায়ী চিকিৎসক।
আজ রোববার সকাল ১০টার দিকে বিভিন্ন দাবি সম্বলিত একটি স্মারকলিপি নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দেখা করতে গেলে তাদের বাধা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তারা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক চিকিৎসক বলেন, ‘আজ রোববার সকাল ১০টার দিকে সকল চিকিৎসকের পক্ষ থেকে আমরা তিনজন মহাপরিচালক (ডিজি) ডা. এম কে এজহারুল কাউয়ুম চৌধুরীর কাছে কাগজ জমা দিতে যাই। তখন তিনি তার সিকিউরিটি গার্ড এবং বাইরের সিকিউরিটি দিয়ে আমাদের আটকে দেন। পরে সেখানেই আমরা শতাধিক চিকিৎসক অবস্থান নেই।’
তিনি বলেন, ‘পরে আমাদের তিনজনকে ভেতরে যাওয়া অনুমতি দেয়। এরপর আমরা গিয়ে ডিজি স্যারকে স্মারকলিপিটি জমা দিয়ে এসেছি।’
অপর এক চিকিৎসক বলেন, ‘আমরা এখন বারডেম হাসপাতালের ২য় তলার ২১০ নম্বর রুমে এবং এর আশেপাশে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছি। তারা (হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ) আমাদের দাবিগুলো মেনে নিলেই আমরা কাজে ফিরে যাবো।’
হাসপাতালের মহাপরিচালকের কাছে জমা দেওয়া স্মারকলিপি থেকে জানা যায়, চিকিৎসকদের দাবিসমূহ মেনে নিতে অগ্রাহ্য এবং কালক্ষেপণ করায় করোনা আক্রান্ত চিকিৎসকদের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ ছাড়াও তাদের আবেদনকৃত চাকরি স্থায়ীকরণের আবেদন গতকাল শনিবার পর্যন্ত কোনো কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়ায় আজ রোববার থেকে তারা অবস্থান কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন।
স্মারকলিপিতে আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) পদে নিয়োগকৃত সকল আরএমও/ সহকারী রেজিস্ট্রার /এমও (অস্থায়ী) বৃন্দের চাকরি স্থায়ীকরণের দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েন অবস্থানকারী চিকিৎসকেরা।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে আজ রোববার দুপুরে বারডেম হাসপাতালের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এম কে এজহারুল কাউয়ুম চৌধুরী দৈনিক আমাদের সময় অনলাইনকে বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। পরিচালক (প্রশাসন) এর সঙ্গে কথা বলুন।’
এরপর বারডেম জেনারেল হাসপাতালের পরিচালকের (প্রশাসন) মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।