চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে গাছে গাছে ধরেছে টকটকা লাল জামরুল। ক্যান্সারসহ বিভিন্ন রোগের প্রতিরোধক হিসেবে মানবদেহে কাজ করে এই রক্তবর্ণা জামরুল। রঙের তীব্র আকর্ষণে ফলটির দিকে বারবার চোখ ফেরাতে বাধ্য করে। গ্রীষ্মকাল হলো এ ফলের মৌসুম। মাঝারি আকারের গাছগুলোর থোকায় থোকায় ধরেছে লাল জামরুল। সবুজ পাতার ফাঁক দিয়ে উঁকি দেয় লাল জামরুল। ফলটি দেখতে অনেকটা ঘণ্টাকৃতি। এটি দেখতে যেমন সুন্দর তেমনি এর গুণাবলীও অনেক।
আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ হতে পর্তুগিজ নাবিকেরা প্রথম এই ফল অত্র অঞ্চলে নিয়ে আসে। ফলটির বৈজ্ঞানিক নাম Syzygium samarangense। এর আঞ্চলিক নাম অনেক। যেমন- জামরুল, আমরুজ, কোনো কোনো অঞ্চলে লকট নামেও পরিচিত। জামরুল বিভিন্ন রঙের হয়ে থাকে। তবে সাদা, হালকা সবুজ ও লাল-গোলাপী রঙেরই বেশি দেখা যায়। সাধারণত বীজ থেকে এ গাছ হয়, কিন্তু ডাল কেটে পানিতে রাখলে শেকড় জন্মায়।
চুয়াডাঙ্গার দর্শনার সজীব ইসলাম বলেন, স্থানীয় নার্সারি থেকে এই রক্ত-জামরুলের গাছ সংগ্রহ করে আমার বাসায় রোপন করি। বিগত তিন বছর ধরে ফল ধরছে। এবার পুরো গাছে প্রায় দুই শতাধিক জামরুল হয়েছে।
স্বাদ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এটি দারুণ রসালো। খেতে সাদা-জামরুলের মতোই। প্রচুর পানি এবং হালকা মিষ্টি। বছরে দু’বার ফল ধরে।
দামুড়হুদা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান বলেন, জামরুল ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। বর্তমানে এই লাল জামরুল অনেকের ছাদে বা ফলের বাগানে শোভা পাচ্ছে। জামরুলের উপকারীতা অনেক। এই ফলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-এ, ভিটামিট-সি ছাড়াও ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, সোডিয়ামসহ বিভিন্ন খনিজ উপাদান বিদ্যমান। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে এবং ত্বকের সুস্বাস্থ্য রক্ষায় জামরুলের খুব ভালো কাজ করে। শরীরের পানিশূন্যতা ও দাঁতের সমস্যা সমাধানে ভালো কাজ করে। বাত নিরাময়ে এবং চোখের নিচের কালো দাগ দূর করে থাকে।