চার জনের দেয়াল ছিল ইয়াগো আসপাসের সামনে। বক্সের ঠিক বাইরে থেকে ফ্রি-কিক পেয়েছিলেন তিনি। মানব দেয়ালের ওপর দিয়ে বল না মেরে আসপাস বল মারলেন নিচু শট। ৮৮ মিনিটে ফ্রি-কিক থেকে বল জালে জড়িয়ে জোড়া গোল করা লুইস সুয়ারেজকেও দিলেন ম্লান করে। দুই মিনিট বাকি থাকতে গোল খেয়ে বড় সর্বনাশই হয়েছে বার্সার।
ম্যাচের শেষ ৫ মিনিটে গোল খেয়ে লা লিগায় এ নিয়ে সব মিলিয়ে ৫ পয়েন্ট হারালো বার্সা। এই মৌসুমে লা লিগায় শেষদিকের গোলে পয়েন্ট হারানোর হিসেবে যা সর্বোচ্চ। এই একটি পরিসংখ্যান স্পষ্ট করেই বলছে চ্যাম্পিয়ন দলের চরিত্র এমন নয়! যদিও এখনো শীর্ষেই আছে বার্সা। ৩২ ম্যাচ শেষে বার্সেলোনার পয়েন্ট এখন ৬৯। তবে রিয়াল মাদ্রিদ পয়েন্ট টেবিলের ২০তম দল এস্পানিওলের বিপক্ষে জিতে গেলে শীর্ষস্থানে এগিয়ে যাবে ২ পয়েন্টে। লা লিগায় তখন বাকি থাকবে আর ৬ ম্যাচ। সেল্টার বিপক্ষে পয়েন্ট হারিয়ে তাই শিরোপা হারানোর শঙ্কায় পড়ে গেছে বার্সেলোনা।
লুইস সুয়ারেজের দুই অর্ধের দুই গোলে বালাডিওসে এগিয়ে গিয়েছিল বার্সেলোনা। জানুয়ারির পর এটাই উরুগুয়ের তারকার প্রথম গোল। ম্যাচ শেষে সুয়ারেজ বলেছেন, ‘এই অনুভূতিটা নেতিবাচক। আমারা যদি শিরোপা লড়াইয়ে টিকে থাকতে চাই তবে হাতে থাকা সবগুলো ম্যাচেই জয় ছিনিয়ে আনতে হবে। কিন্তু এখন আমাদের মাদ্রিদের ম্যাচগুলোর ওপর ভরসা করতে হচ্ছে।’
জানুয়ারিতে হাঁটুর অস্ত্রোপচারের পর সম্ভবত সেরা ম্যাচ খেলেছেন সুয়ারেজ। লিওনেল মেসির ফ্রি-কিক থেকে সুয়ারেজের প্রথম গোলটি এসেছে বিস্ময়করভাবে। আরও একবার এই ম্যাচে বার্সেলোনার রক্ষণভাগের দুর্বলতা চোখে পড়েছে। এমনকি ইনজুরি টাইমে জেতার একটি আশাও ছিল সেল্টা ভিগোর। কিন্তু নোলিতো ম্যাচের সবচেয়ে সহজ সুযোগটি নষ্ট করেন। এই ২-২ ড্রয়ে সেল্টা ১৬তম স্থানে উঠে এসেছে, তলানির তিনটি দলের থেকে তারা আট পয়েন্ট এগিয়ে রয়েছে।
ফরাসি তারকা গ্রিজম্যান ছিলেন বদলি বেঞ্চে। কিন্তু তিনি দ্বিতীয়ার্ধের শেষের দিকে মাঠে নামার পর পরই সেল্টা সমতাসূচক গোলটি করে। বিরতির পর পরই মার্ক-আন্দ্রে টের স্টেগানকে পরাস্ত করেন ফেডোর সোমোলোভ। আর্তুরো ভিদাল একটি পাস ক্লিয়ার করতে গেলে ভুল করে বসলে সেই সুযাগে সোমোলোভ সেল্টার পক্ষে সমতা ফেরান। ৬৭ মিনিটে মেসির সহযোগিতায় সুয়ারেজ আবারও বার্সাকে এগিয়ে দেন। এর পর কিছু সময় মনে হয়েছিল বার্সেলোনা ম্যাচের আধিপত্য নিজেদের করে নিয়েছে। কিন্তু সেল্টা দ্রুতই ম্যাচের ছন্দ ফিরে পায়। ম্যাচ শেষের দুই মিনিট আগে আসপাসের কার্লিং শট আটকাতে পারেননি স্টেগান।