‘মা, আমাকে ক্ষমা করে দিও। আমার আর বিদেশ যাওয়া হচ্ছে না। মা, আমি তোমাকে খুব ভালোবাসি! আমি মরে যাচ্ছি মা, দম বন্ধ হয়ে আসছে।’
কাঁদতে কাঁদতে কথাগুলো বলছিলেন এক মা। যার সন্তান লরিতে করে ব্রিটেন যাচ্ছিলেন। তিনি আশঙ্কা করছেন তার সন্তান যুক্তরাজ্যের এক্সেসে পাওয়া লরি ৩৯ লাশের একটি।
২৬ বছর বয়সী ফাম থি ট্রা মি যুক্তরাজ্যের ওই ঘটনার আগে মাকে আবেগঘন ওই মেসেজ পাঠান। এরপর থেকে তার কোনো খবর নেই। তাই পরিবারের ধারণা তিনি ওই লরিতে দম বন্ধ হয়ে মারা গেছেন।
ভিয়েতনাম ভিত্তিক একটি মানবাধিকার সংস্থা জানায়, ট্রা মি প্রথম চীনে যান। তার পরিকল্পনা ছিল ফ্রান্স হয়ে ইংল্যান্ড যাওয়ার।
ট্রা মি’র পরিবার ছাড়াও আরো একটি পরিবার দাবি করছে, তাদের পরিবারের একজন সদস্য ওই লরিতে ছিলেন।
গুয়েন ডিন গিয়া জানান, তার ছেলে দুই সপ্তাহ আগে জানিয়েছিল, সে ফ্রান্স থেকে ব্রিটেন যাবেন। তার ছেলে এক বছর ধরে অবৈধভাবে ফ্রান্সে ছিল।
২০ বছর বয়সী গুয়েন ডিন লুয়োং বাবাকে জানিয়েছিলেন, ব্রিটেন যাওয়ার জন্য তাকে ১১ হাজার পাউন্ড দিতে হবে।
কিন্তু দিন কয়েক আগে তিনি একটি ফোন পান। অজ্ঞাত এক ব্যক্তি তাকে বলেন, ‘অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য প্রস্তুত হন।’
এ কথা শোনার পর পরই মাথা ঘুরিয়ে পড়ে যান গিয়া। তার ধারণা, তার ছেলে ওই লরির মধ্যেই ছিল।
এদিকে লরিতে ৩৯ লাশ পাওয়ার ঘটনায় সন্দেহভাজন আরো একজনকে শুক্রবার আটক করেছে পুলিশ। এ নিয়ে চারজনকে এ ঘটনায় আটক করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
– আল-জাজিরা