করোনাভাইরাসের কারণে এ বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হচ্ছে না। করোনার কারণে আগে থেকেই এ টুর্নামেন্ট বাতিল হওয়া নিয়ে গুঞ্জন ছিল। অবশেষে আজ সোমবার ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) এক সভা শেষে এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ স্থগিতের ঘোষণা দেওয়া হয়।
চলতি বছরের ১৮ অক্টোবর থেকে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হওয়ার কথা ছিল। আগামী বছর ভারতে আরেকটা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হওয়ার কথাও ছিল।
আজ আইসিসি সভায় করোনা পরিস্থিতিতে স্থগিত হয়ে যাওয়া টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে আইসিসির বড় ইভেন্টগুলোর সূচি নতুন করে ঠিক করা হয়েছে। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এ বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপটা হবে আগামী বছর অক্টোবর-নভেম্বরে, ১৪ নভেম্বর ২০২১ ধরা হয়েছে ফাইনালের সম্ভাব্য তারিখ। এরপর পরের বছর (২০২২) একই সময় হবে আরও একটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, যেটির ফাইনাল হতে পারে ১৩ নভেম্বর। আর ২০২৩ সালে ভারতে হতে যাওয়া ওয়ানডে বিশ্বকাপ ওই বছরের ফেব্রুয়ারি-মার্চ থেকে সরিয়ে অক্টোবর-নভেম্বরে নেওয়া হয়েছে। ২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনাল হবে ২৬ নভেম্বর।
আইসিসির প্রধান নির্বাহী মনু সানে বলেন, ‘আমরা একটি বিস্তীর্ণ ও জটিল পরিকল্পনার গ্রহণ করেছি এবং এই প্রক্রিয়াটির মধ্য দিয়ে, আমাদের প্রথম এক অগ্রাধিকার হলো খেলাধুলায় জড়িত প্রত্যেকের স্বাস্থ্য এবং সুরক্ষা রক্ষা করা।’
তিনি বলেন, ‘আইসিসি মেন’স টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তটি সকলে যত্ন সহকারে সকল বিকল্প বিবেচনা করার পরে নেওয়া হয়েছিল এবং আমাদের বিশ্বজুড়ে ভক্তদের জন্য দুটি নিরাপদ ও সফল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়াজেনর সেরা সম্ভাবনা সুযোগ দেয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই প্রক্রিয়াজুড়ে আমাদের মূল অংশীদার যার মধ্যে রয়েছে- সরকার, সদস্য, সম্প্রচারক, অংশীদার এবং চিকিত্সা বিশেষজ্ঞরাসহ সকলরে সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছি, যাতে আমাদের খেলার এবং আমাদের ভক্তদের ভালোর জন্য সম্মিলিত সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে সক্ষম করে তোলে। আমি ক্রিকেটে নিরাপদে ফিরে আসার প্রতিজ্ঞাবদ্ধতার জন্য জড়িত সকলকে ধন্যবাদ জানাতে চাই।’