করোনা বিস্তার কিছুতেই কমছে না। বিশ্বের প্রায় সব অঞ্চলেই দিন দিন রেকর্ড সংখ্যক রোগী শনাক্ত হচ্ছে। এক প্রতিবেদনে রয়টার্স জানিয়েছেÑ প্রায় ৪০টি দেশে গত সপ্তাহের একাধিক দিনে রেকর্ড রোগী শনাক্ত হয়েছে। আগের সপ্তাহেও এমন দেশের সংখ্যা ছিল ২০টির মতো। আপাতদৃষ্টিতে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল ও ভারতে সংক্রমণের উচ্চহার লক্ষ করা যাচ্ছে। তবে একই সঙ্গে অস্ট্রেলিয়া, জাপান, হংকং, বলিভিয়া, সুদান, ইথিওপিয়া, বুলগেরিয়া, উজবেকিস্তান ও ইসরায়েলে করোনায় আক্রান্ত নতুন রোগীর রেকর্ড তৈরি হচ্ছে।
এদিকে পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, লকডাউনসহ বিধিনিষেধ তুলে দেওয়ায় অনেক দেশে সেকেন্ড ওয়েভ বা দ্বিতীয় দফা সংক্রমণ শুরু হয়েছে। কয়েক দিন আগে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক তেদ্রোস আধানম গ্যাব্রিয়েসুস বলছিলেনÑ আমরা ‘আগের স্বাভাবিক’ অবস্থায় ফিরে যাব না। আমরা যেভাবে জীবনযাপন করতাম, মহামারী এরই মধ্যে তাতে পরিবর্তন এনে দিয়েছে। আমরা এখন প্রত্যেককে বলছিÑ কোথায় যাচ্ছেন, কী করছেন, কার সঙ্গে দেখা করছেন এগুলোকে জীবন-মরণ সিদ্ধান্তের মতো বিবেচনা করতে; কেননা এসব সিদ্ধান্ত এখন এমনই গুরুত্বপূর্ণ।
রয়টার্সের হিসাব অনুযায়ীÑ তিন সপ্তাহ আগেও প্রতিদিন কিংবা কয়েক দিনের ব্যবধানে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা আগের রেকর্ড ভাঙছে এমন দেশের সংখ্যা ছিল ৭; পরের সপ্তাহে এ সংখ্যা বেড়ে হয় ১৩, তার পর ২০। আর এখন ৩৭টি দেশে এ প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। তার পরও বাস্তবতা আরও ভয়াবহ বলে মনে করা হয়। কেননা দুর্বল স্বাস্থ্য ব্যবস্থার অনেক দেশে প্রয়োজনীয় সুবিধা না থাকায় অনেক রোগী শনাক্তের বাইরে থেকে যাচ্ছে।
জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে গতকাল শনিবার বিকাল পর্যন্ত দেখা গেছেÑ বিশ্বজুড়ে শনাক্ত করোনা রোগীর সংখ্যা এক কোটি ৫৭ লাখ ৫৯ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। মৃত্যু ছাড়িয়েছে ৬ লাখ ৪০ হাজার। এর মধ্যে কেবল যুক্তরাষ্ট্রেই ৪১ লাখের বেশি রোগী রয়েছে আর মৃত্যু হয়েছে এক লাখ ৪৫ হাজার ৫৫৬ জনের। ব্রাজিলে শনাক্ত রোগী ২৩ লাখ ছুঁই ছুঁই; মৃত্যু ৮৫ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। আক্রান্তের তালিকায় তৃতীয় স্থানে থাকা ভারতে গত কয়েক দিন ধরে প্রায় প্রতিদিন ৪০ হাজারের বেশি রোগী শনাক্ত হচ্ছে।