বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার হত্যার ঘটনায় মাহমুদ নামে আরেকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রোববার সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলামোটর এলাকা থেকে ঢাকা মহানগর পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের ডিসি (মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগ) মাসুদুর রহমান জানান, রাজধানীর বাংলামোটর থেকে রোববার সন্ধ্যার দিকে মাহমুদ সেতুকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আবরার হত্যা মামলার এজাহারে মাহমুদ সেতুর নাম উল্লেখ না থাকলেও কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় ইতোমধ্যে গ্রেফতারকৃতদের জবানবন্দি ও বিভিন্ন সাক্ষ্যপ্রমাণে হত্যায় তার সংশ্লিষ্টতা পাওয়ায় তাকে ওই মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে। আবরার হত্যায় সেতুসহ এখন পর্যন্ত ২১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সেতু জানায়, সে বুয়েটের ১৪তম ব্যাচের ছাত্র। কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ থেকে চলতি বছরের এপ্রিলে বিএসসি সম্পন্ন করেন। সে শেরেবাংলা হলে ২০১২ নম্বর রুমে অবস্থান করে মানিকগঞ্জের একটি ওষুধ কোম্পানিতে কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করছিলেন।
ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেয়ার জেরে বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে গত ৬ অক্টোবর রাতে রুম থেকে ডেকে নিয়ে যায় বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা-কর্মী। এরপর রাত তিনটার দিকে শেরেবাংলা হলের সিড়িতে তাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। বুয়েট ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা কয়েক ঘণ্টা ধরে নির্মমভাবে পিটিয়ে তাকে সিড়িতে ফেলে রাখে।
পরদিন ৭ অক্টোবর দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে আবরারের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। নিহত আবরার ইলেকট্রনিক্স এন্ড ইলেকট্রিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি শেরেবাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে থাকতেন। এই ঘটনায় আবরারের বাবা বরকতউল্লাহ বাদী হয়ে চকবাজার থানায় ১৯ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করেন।