২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ৬ষ্ঠ আসরের কিছু অর্থ এখনো বকেয়া রয়ে গেছে। তিন ক্রিকেটার ও এক কোচ এখন তাদের বকেয়া পাননি। ক্রিকেটারদের বৈশ্বিক সংগঠন ফেডারেশন অব ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশনস (ফিকা) তাদের সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদনে ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক দিতে দেরি করে এমন লিগের মধ্যে বিপিএলের নাম উল্লেখ করেছে।
বিপিএলে অর্থ পরিশোধ নিয়ে এমন প্রতিবেদনের বিপরীতে নিজেদের ব্যাখ্যা দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডও (বিসিবি)। আজ মঙ্গলবার দুপুরে পাঠানো এক বিবৃতিতে বোর্ড দাবি করে এটি একটি ‘বিচ্ছিন্ন ঘটনা’।
বিবৃতিতে বলা হয়, বিসিবি স্পষ্ট করে বলতে চায়, মাত্র ৪ জন যাদের মধ্যে তিনজন বিদেশি ক্রিকেটার ও একজন কোচ অমীমাংসিত-বিতর্কিত বকেয়া পারিশ্রমিকের ভুক্তভোগী। যারা সবাই একটা নির্দিষ্ট দলে খেলেছে, ২০১৮ সালে বিপিএলের ৬ষ্ঠ আসরের ঘটনা। এরকম টুর্নামেন্টে এটি একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা, যেখানে ১৭০ স্থানীয় ও বিদেশি খেলোয়াড় এবং কোচিং স্টাফ চুক্তিবদ্ধ থাকে।
তবে এ তিন ক্রিকেটার ও কোচ কোন দলের হয়ে খেলেছে বিসিবি তা প্রকাশ করেনি। জানা গেছে, ৬ষ্ঠ আসরে সিলেট সিক্সার্সের নিকোলাস পুরান, সোহেল তানভীর ও গুল্বাদিন নাঈবের অর্থ বকেয়া রয়েছে। এ ছাড়া দলটির কোচ ওয়াকার ইউনুসও বুঝে পাননি তার পাওনা।
বিবৃতিতে বিসিবি জানায়, বিপিএলকে সরাসরি অর্থ দেরিতে পরিশোধ করে এমন লিগে অন্তর্ভূক্ত করা ভুল বলে দাবি দেশের ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থার। চলতি বছর জানুয়ারি থেকে এপ্রিল সময়কালে বিসিবি অভিযোগ পেতে থাকে উল্লেখ করে বলা হয়, ‘২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে এপ্রিলের মধ্যে বিসিবি সংশ্লিষ্ট খেলোয়াড় ও কোচের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়েছে, চুক্তি অনুসারে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি পারিশ্রমিক প্রদানে ব্যর্থ হয়েছে। ফ্র্যাঞ্চাইজি চুক্তি অনুসারে খেলোয়াড় ও কোচিং স্টাফের পারিশ্রমিক সরাসরি তারাই পরিশোধ করার কথা ছিল। তবুও ইভেন্টের নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে বিসিবি বিষয়টি যথাযথভাবে তদন্ত করছিল। পরবর্তীতে বকেয়া অর্থ পরিশোধে ফ্র্যাঞ্চাইজিটির বিরুদ্ধে আইনী কার্যক্রমও শুরু করা হয়। এটা লক্ষ্য করা উচিত, বোর্ড নিয়মিত সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ চালিয়ে গেছে।’
এ ছাড়া ফিকার এই প্রতিবেদনে জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের বিশ্বকাপ প্রাইজমানি দেওয়া হয়নি বলেও উঠে আসে। এ প্রসঙ্গে বিসিবির দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ফিকার প্রতিবেদন অনুসারে আইসিসির পূর্ণাঙ্গ সদস্য দেশ হিসেবে আইসিসি ইভেন্টের প্রাইজমানি ক্রিকেটারদের প্রদান করেনি বিসিবি এমন অভিযোগ তোলা হয়। এটি সম্পূর্ণ ভুলভাবে তুলে ধরা হয়েছে। সবশেষ ২০১৯ ইংল্যান্ড বিশ্বকাপসহ অতীতের সব আইসিসি ইভেন্টের প্রাইজমানি বিসিবি ক্রিকেটারদের সম্পূর্ণ প্রদান করেছে।’