সরকার দুর্নীতিকে সংরক্ষণ করার জন্য পরিপত্র জারি করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, স্বাস্থ্য খাতে এক ভয়ঙ্কর দুর্নীতি বিরাজ করছে। দুর্নীতিতে স্বাস্থ্যখাত ধ্বংস হয়ে গেছে। এর মধ্যে গতকাল স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় একটি পরিপত্র জারি করেছে, সরকারি অনুমতি ছাড়া কোনো হসপিটালে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কোন অভিযান পরিচালনা করতে পারবে না। এর মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে সরকার দুর্নীতিকে সংরক্ষণ করতে চায়, প্রটেকশন দিতে চায়। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান পরিচালনা না করলে রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদ এবং জেকেজির চেয়ারম্যান ডাক্তার সাবরিনার দুর্নীতি প্রকাশ পেত না। দুর্নীতির সাথে যারা জড়িত তারা সরকারি দলের লোকজন। তাদের প্রটেকশন দেয়ার জন্যই এই পরিপত্র জারি করা হয়েছে। এর ফলে সামনের দিনগুলো স্বাস্থ্যখাত আরো ভয়ঙ্কর হবে। মানুষ কোনো সেবাই় পাবে না।
বৃহস্পতিবার সকালে কুড়িগ্রামে নিজ বাসভবন থেকে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব দাবি করেন।
অনেক এলাকায় বন্যার অবনতি হয়েছে উল্লেখ করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, ইতোমধ্যে বন্যায় মানুষের ঘরবাড়ি গবাদিপশু ভেসে গেছে। ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। এক্ষেত্রে সরকার কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। ত্রাণ এবং বন্যা মোকাবেলায় নানা ধরনের পদক্ষেপ নেয়ার কথা থাকলো আমি তা দেখিনি। বানভাসি মানুষ খাদ্যের অভাবে মানবতার জীবন যাপন করছে। কুড়িগ্রামে করোনা ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করছে। মানুষ মারা যাচ্ছে। যেখানে ঢাকাতে কোনো চিকিৎসা নেই, সেখানে কুড়িগ্রামে প্রত্যন্ত অঞ্চলে চিকিৎসা পাওয়ার কথা কল্পনাও করা যায় না। এখানে চিকিৎসা ব্যবস্থা না থাকায় নরকতুল্য অবস্থা বিরাজ করছে। করোনা মোকাবেলায় কোনো ধরনের প্রতিকারের ব্যবস্থা নেই।
বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, দুর্নীতিতে স্বাস্থ্যখাত ধ্বংস হওয়ার পরও সরকারের টনক নড়েনি। তারপরও গতকাল মূলত দুর্নীতির পক্ষে পরিপত্র জারি করেছে। করোনা মোকাবিলায় সরকারের কোনো প্রতিকারের ব্যবস্থা ছিল না। কার্যত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেনি দেশবাসী তা দেখেছে। চিকিৎসা না পেয়ে মানুষ রাস্তায় এম্বুলেন্সে মারা গেছে। সরকার মানুষের সেবা দিতে ব্যর্থ হয়েছে।